সরকারকে বিব্রত করতে নির্বাচন স্থগিত : আ’লীগ মেয়রপ্রার্থী
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিত ঘোষণায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আমরা নির্বাচনমুখী। ষড়যন্ত্রকারীরা কৌশলে এ নির্বাচন বন্ধ করেছে, সরকার ও আমাদের বিব্রত করার জন্য। আমি উচ্চ আদালতে গিয়ে এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব।
রোববার হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পরই এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা জানার পর নগরীর সাইন বোর্ড এলাকার একটি পোশাক কারখানায় প্রচারণা স্থগিত করে ঢাকায় চলে যান জাহাঙ্গীর।
এদিকে নির্বাচন স্থগিতের খবরে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থগিতাদেশের ঘোষণা শুনে মহানগরীতে এক ধরণের স্থবিরতা বিরাজ করছে। এতে গত কয়েকদিন যাবত ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়া নির্বাচনী আমেজ যেন মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে গেছে। মহানগরীর অনেক নাগরিকের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন স্থগিত করায় তারা স্তম্ভিত ও হতাশ।
এ ব্যাপারে গাজীপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান বলেন, ‘যেহেতু আদালত নির্বাচন স্থগিত করেছে সেহেতু বিস্তারিত না জেনে কিছু বলতে পারবো না।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সাভারের ছয়টি মৌজাকে (শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ী, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল, পানিশাইল ও ডোমনাগ) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। কিন্তু তা নিষ্পত্তি না হওয়ায় পুনরায় রিট দায়ের করা হলে আদালত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দেন।
গাজীপুর সিটির সীমানা নিয়ে ঢাকার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ এ রিট আবেদন করেন।
রোববার ওই রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন