সরকারি চাকরিতে শূন্য পদ প্রায় চার লাখ

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে শূন্য পদের সংখ্যা তিন লাখ ৯২ হাজার ১১৭ বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, ২০১০ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিসিএসের মাধ্যমে ৪১ হাজার ৫৬৬ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এ সময়ে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যডার পদে ৫ হাজার ১৪৩ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির (১০-১২তম গ্রেড) সাত হাজার ১৬১ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মকমিশন ৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেড চার হাজার ৬৫৮ জন এবং দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যডার পদে ৪২ হাজার ৪০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে।

অন্যদিকে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী এক প্রশ্নে বলেন, (ক) সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে সম্পদের হিসাব এবং নিজ পরিবারের সদস্যদের বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণে সরকারের অনুমতি নেওয়ার শর্ত সংযোজনপূর্বক অবিলম্বে আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯ হালনাগাদ করা হইবে কি না; না হইলে, তাহার কারণ কী এবং(খ) এ বিধি অমান্যে শাস্তি নিশ্চিত করা হইবে কি না; না হইলে, তাহার কারণ কী? এবং (খ) এ বিধি অমান্যে শাস্তি নিশ্চিত করা হইবে কি না; না হইলে, তাহার কারণ কী?

জবাবে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, (ক) সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর আলোকে প্রস্তাবিত খসড়া সরকারি কর্মচারি (আচরণ) বিধিমালা, ২০২২’ প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে উপস্থাপনের লক্ষ্যে ০১-০৩-২০২২ তারিখে সার-সংক্ষেপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

‘সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল এবং নাগরিকত্ব গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়টি উক্ত আচরণ বিধিমালায় পূর্ব থেকেই সংযোজিত রয়েছে।’

‘প্রস্তাবিত খসড়া আচরণ বিধিমালায় তা যুগোপযোগীকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। (খ) বিধি অমান্যকরণে বিধিমালায় শাস্তির ব্যবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে।’