সরকারের কোনো কূটকৌশলে আর কাজ হচ্ছে না: রিজভী
নির্বাচন নিয়ে সরকারের কোনো কূটকৌশলে আর কাজ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেছেন, সারা দেশে জনগণের দুর্বার আন্দোলন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানের কারণে শেখ হাসিনা কোনো উপায় না দেখে এখন আবোলতাবোল বলতে শুরু করেছেন। কোনো ফন্দি-ফিকির, কূটকৌশলে আর কাজ হচ্ছে না। শেখ হাসিনা টের পাচ্ছেন যে, কখনো ভোটডাকাতি কখনো বিনাভোটে আবার কখনো রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোটাধিকার লুট করে ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ। এখন চরম আতঙ্কবোধ করছে সরকার। সে জন্য বেপরোয়া নতুন ষড়যন্ত্রে মেতেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার অসংলগ্ন কথাবার্তা, হুমকি এবং ২০১৮-এর নির্বাচনের প্রাক্কালে গায়েবি মামলা আর গ্রেফতারের হিড়িকের সুষ্পষ্ট লক্ষণ আবারও ফুটে উঠছে।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম সফর করে এসে রীতিমতো প্রলাপ বকছেন। তাতে মনে হয় গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছ থেকে তার দুঃশাসনের পক্ষে স্বীকৃতি পাননি। শেখ হাসিনা গত কয়েক দিন লাগাতার অজান্তেই তার আসন্ন পতনের আশঙ্কা করছেন। শেখ হাসিনা নিজেই বলছেন— দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে, কোনো একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রতিটি গণতন্ত্রকামী দেশ আমাদের দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছে। ওই নির্বাচনে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, সে দল সরকার গঠন করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলেই নিশিরাতের প্রধানমন্ত্রীর গলা শুকিয়ে যায়। আতঙ্কে ঘুম হারাম হয়ে যায়। কারণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এখন তার সবচেয়ে বড় শত্রু। এ কারণে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রীদের কথাবার্তা অসংলগ্ন ও বেসামাল। তবে এখন সরকারের দিবাস্বপ্ন দেখে লাভ হবে না। তাদের সামনে পরিত্রাণের সোজাসাপ্টা একটাই পথ এবং তা হলো— পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর।
বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ২৩ ও ২৮ মে ঢাকা ছাড়া সব মহানগরে পদযাত্রা।
এ সময় রিজভী বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতিসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এ কর্মসূচি হবে। ইতোমধ্যে এ দাবিতে বুধবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপির পদযাত্রায় সাধারণ মানুষের বিপুল সমাগম ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল ইসলাম খান আলিম, খান রবিউল ইসলাম রবি, তারিকুল আলম তেনজিং, মৎস্যজীবী দলের মো. আবদুর রহিম, মুক্তিযোদ্ধা দলের মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন