সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানছে না যশোরের রাজগঞ্জের দোকানিরা, ঠকছে ক্রেতারা
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে বেপরোয়া আলু, পেঁয়াজ, রসুন ডিমের বাজার। সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত দামের প্রতিফলন নেই বাজারে। সব পণ্যই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজগঞ্জের খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়- প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা। আর প্রতিটি ডিম ১৩ টাকা।
সরকার আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু রাজগঞ্জের দোকানীরা এই দামে বিক্রি করছে না। সরকারি দামে বিক্রি করছেন না কেনো, এমন প্রশ্নের জবাবে দোকানীরা বলছেন- কমা দামের মাল এখনো আমাদের কাছে আসেনি। এখন ক্রেতাদের প্রশ্ন হচ্ছে- দাম বাড়লে, তখন রাতারাতি কিভাবে আসে? এই প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি দোকানীরা।
রাজগঞ্জ বাজারের কোনো দোকানে পণ্যের দাম এক নেই। একেক দোকানে একেক দাম। যার যেভাবে-যে দামে ইচ্ছা হচ্ছে, পণ্য বিক্রি করছেন। বেশি দরাদাম করলে দোকানীরা সেই খরিদ্দারের কাছে পণ্য বিক্রি করছেন না। বলছে- ঘরে থাকলেই লাভ। ফলে অসহায় হয়ে পড়েছে ক্রেতারা। আর দোকানীর কাছে ২বার পণ্যের দাম জিজ্ঞেস করলেই দোকানদারের কটু কথা, খারাপ ব্যবহার শুনতে হয়।
যাদের আয় কম, একদিন কাজ না করলে পরের দিন উপোস থাকতে হয় বা খাওয়া কমাতে হয়, তারা বাজারে গিয়ে খানিক দাঁড়িয়ে থেকে দাম শুনে এসব পণ্য কিছুক্ষণ দেখে চলে যাচ্ছেন। এতে চরম ঠকা ঠকছে ক্রেতারা। ক্রেতারা ভোক্তা অধিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সরকার আলু-পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেঁধে দেয়। প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে।
একইসঙ্গে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা এবং আলুর কেজি ৩৫-৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন