সরকারের মহড়ায় জনগণের সাড়া নেই : গয়েশ্বর

দেশের সব আদালত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদালত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায় কী হতে পারে- তা আমরা অনুমান করতে পারছি। কারণ, দেশের হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টসহ সব কোর্ট হাসিনার কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিদায় প্রক্রিয়ায় যা প্রমাণিত হয়েছে।’

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া ও আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার পূর্বশর্ত শেখ হাসিনার বিদায়। তাই ক্ষমতাসীন সরকার কয়েক দিন পরপর যে মহড়া দিচ্ছে, তাতে জনগণের সাড়া নেই। তারাও চায় সরকারের পরিবর্তন।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ঢাকাস্থ ফেনী জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সৎ সাহস নিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের উদ্যোগ নিন। পদত্যাগ করে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিন।’

৭ মার্চ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৭ মার্চের ঘোষণাকে গুরুত্বপূর্ণ করেছে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকারকে আমলারা ভয়ে জ্বি স্যার, জ্বি স্যার বলে থাকেন। যদিও তারা বেশিদিন কারও পক্ষে থাকতে চান না, সব সময় চান পরিবর্তন। কেননা পরিবর্তন হলে তাদের আরও কিছু নতুন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পায়। জেলের তালা আমাদের ভাঙতে হবে না। শেখ হাসিনাকেই জেলের তালা খুলতে হবে, সেখানে তাদেরও থাকতে হবে। তালা না খুললে সেখানে তাদের জায়গা সংকুলান হবে না।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে অপকর্ম করবেন, আর জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়া হবে- এমনটা চলতে পারে না।’

ওমর ফারুক ডালিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।