সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় চালের দাম বেড়েছে : বিশ্বব্যাংক
পর পর দুটি বড় বন্যা ও সরকারর সিদ্ধান্তহীনতার কারণে চালের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অর্ধ-বার্ষিক প্রতিবেদন ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ প্রকাশকালে এ কথা বলেন বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, সরকারি যে সব সিদ্ধান্ত তা বাস্তবায়নে সময় নেওয়া হয়েছে। শুল্ক কমানো হলে সে অর্ডার বন্দরে পৌঁছতে সময় লেগেছে। ফলে সরকারের কাছে চালের মজুদ না থাকায় ব্যবসায়ী তথা বাজার সুবিধা নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ বছর বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির বিষয়েও ধারণা দেয় বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি ) প্রবৃদ্ধিরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশি, ভালো এবং সবার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য মূল চ্যালেঞ্জ। সংস্থাটি বলছে, সাম্প্রতিকালে কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতি কমে গেছে। এর পেছনে অবকাঠামোগত দুর্বলতা, আর্থিকখাতের সংস্কার না হওয়া ও ইনফরমাল লেবার মার্কেটের আধিপত্য বড় কারণ।
আন্তর্জাতিক এ ঋণদাতা সংস্থা বলছে, বাংলাদেশ সরকার এ বছর ৭. ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে আশার কথা শুনিয়েছে, তা অর্জন করতে হলে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এর মধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বেসরকারি খাতে ‘প্রচুর বিনিয়োগ’ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তা করতে না পারলে আগামী অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি হবে না।
অন্যদিকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) গতকাল তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৭’-এ বলেছে, এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। যা বিশ্ব ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি ধারণার চেয়ে দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
অনুষ্ঠান অন্যদের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরীন এ মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন