সরকারের হস্তক্ষেপে বিমানের টিকিটের দাম কমলো ৭৫ শতাংশ

সরকারের হস্তক্ষেপে ও কঠোর নিয়মকানুন বাস্তবায়নের ফলে সৌদি আরবগামী ফ্লাইটসহ বিভিন্ন গন্তব্যে বিমানের টিকিট ভাড়া ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।

বুধবার (১৯ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আটাব জানিয়েছে, গত ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারিতে যাত্রীদের ঢাকা থেকে সৌদি আরবের প্রধান শহরগুলোতে যেতে বিমান টিকিটে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। গ্রুপ বুকিং স্কিমের অধীনে টিকিটের দাম ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। তবে সরকারের নজরদারি ও প্রচেষ্টায় টিকিটের দাম নাটকীয়ভাবে কমেছে। এখন ভাড়া ৫০ হাজার থেকে ৪৮ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। এমনকি কিছু বিমান সংস্থা ঢাকা থেকে দাম্মাম ও রিয়াদের মতো রুটে টিকিট ভাড়া কমিয়ে ৩৫ হাজার টাকায় দিচ্ছে।

ক্রমবর্ধমান বিমান ভাড়া রোধকল্পে ও বাজার শৃঙ্খলা আনতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি টিকিট বুকিংয়ে কঠোর নিয়মকানুন জারি করে। জেদ্দা, মদিনা, দাম্মাম ও রিয়াদের মতো গন্তব্যস্থলে যাতায়াতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ও কৃত্রিমভাবে স্ফীত মূল্য হ্রাস করার লক্ষ্যে এই নির্দেশ জারি করা হয়।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে অবশ্যই যাত্রীর নাম, পাসপোর্টের বিবরণ ও পাসপোর্টের একটি ফটোকপি দিয়ে বিমানের টিকিট বুকিং করতে হবে।

এ নির্দেশনার পর বিমান সংস্থাগুলো পূর্বে ব্লক করা টিকিট প্রকাশ করেছে। এতে কম্পিউটার রিজার্ভেশন সিস্টেমে আসনের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যাত্রী ও ভ্রমণ সংস্থা উভয়ই টিকিট ভাড়া এবং আসনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে রিয়েল-টাইম তথ্য সেবা পাচ্ছে। এছাড়া বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়েছে, যা দাম কমাতে তাদের উদ্বুদ্ধ করছে।

মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিমান ভাড়া বৃদ্ধির জন্য দায়ী কৃত্রিম আসন ঘাটতি সমস্যাটির সমাধান করেছে। আটাব এক বিবৃতিতে সরকারের হস্তক্ষেপের প্রশংসা করেছে। বিমানে ভ্রমণকারী, বিশেষ করে সাশ্রয়ী মূল্যের বিমানের ওপর নির্ভরশীল অভিবাসী কর্মীদের ওপর থেকে আর্থিক বোঝা কমাতে এটিকে সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে আটাব।

আটাব-এর মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, এই উদ্যোগ কেবল যাত্রীদের জন্যই নয়, ভ্রমণ শিল্পের জন্যও উপকারী। কারণ, এটি আরো স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, বিমান সংস্থাগুলোকে আগের চর্চায় ফিরে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে হলে কঠোর পর্যবেক্ষণ এবং নিয়মকানুন প্রয়োগ অপরিহার্য। ভবিষ্যতে বাজারের ভারসাম্য বজায় ও ভোক্তাদের স্ফীত মূল্য থেকে রক্ষা করতে অতিরিক্ত আইন ও বিধিমালার সপারিশ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।