‘সর্বোচ্চ মজুদের পরও চালের দাম নিয়ন্ত্রণে নেই’

সর্বকালের সর্বোচ্চ মজুদের পরও চালের দাম নিয়ন্ত্রণে নেই জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে চালের উৎপাদন আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অতি উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ও হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত সরকারি-বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আয়োজিত সভায় এমন কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে নবান্নের সময়ও (আমনের মৌসুম) চালের দাম বাড়ছে। এ বছর আউশ, বোরো ও আমনে রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। সরকারি মজুদও সর্বকালের সর্বোচ্চ। তারপরও চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায়, চালের মূল্য নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হলে দ্রুত চালের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। এটি করতে হলে অতি উচ্চফলনশীল ইনব্রিড ও সুপার হাইব্রিড জাতের আবাদ বাড়াতে হবে। সেলক্ষ্যে রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে। যাতে করে ১-২ বছরের মধ্যে উৎপাদন অনেক বাড়ানো যায়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, শিল্পায়ন ও বাড়িঘরে জমি চলে যাচ্ছে। চাহিদা কীভাবে মেটানো যায়, দানা জাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে কীভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া যায় সে বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমাদের সেভাবে চাল আমদানি করতে হয়নি। সরকারিভাবে আমদানি করা হয়নি, বেসরকারিভাবে কিছু সরু চাল আমদানি করা হয়েছিল। এরপর বন্যার কারণে বিদেশ থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে চালের দাম কমতে থাকে।

আমাদের বৈজ্ঞানিকরা বিরি-৮৯, বিরি-৯২ উদ্ভাবন করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বোরোতে, আমনে, আউশে কীভাবে উৎপাদন বাড়াতে পারি সেটি নিয়ে আমরা সভায় আলোচনা করছি। আমাদের লক্ষ্য আগামী আমন, আউশ ও বোরোতে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানো। আমাদের বৈজ্ঞানিকরা বিরি-৮৯, বিরি-৯২ উদ্ভাবন করেছেন। এগুলোর প্রচলিত জাতের চেয়ে উৎপাদনশীলতা অনেক বেশি। এগুলো মাঠে নিয়ে আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব। কৃষককে কম দামে সার, বীজ দেবো। উচ্চ ফলনশীল এই জাতগুলো কৃষকের কাছে যাতে নিয়ে যেতে পারি সে ব্যাপারে আমরা একটা রোডম্যাপ করে এগোবো। বিরি-৮৯ যে বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন তারা এ বছর একুশে পদক পাচ্ছেন। উচ্চফলনশীল এই সব জাত মাঠে নিয়ে যেতে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধিতে বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখবেন। এ লক্ষ্যে আমরা একটা রোডম্যাপ নিয়ে অগ্রসর হবো।