সহজে সঞ্চয় বাড়বে যেভাবে!
কর্মজীবনের শুরু থেকেই টাকা জমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। ফলে কর্মজীবন শেষে উপভোগ করতে পারবেন নিশ্চিত জীবনের আনন্দ।
কথায় আছে বিন্দু বিন্দু জমেই হয় সিন্ধু। কথাটা আসলেই সত্য। বিরাট পুঁজির মৌলিক উপাদানই হল ছোট ছোট সঞ্চয়। আজ জমালে কাজে লাগবে ভবিষ্যতে। যেভাবে শখ মিটানোর পাশাপাশি বাড়বে সঞ্চয়। জেনে নিন-
১। কেনাকাটা করুন বুঝে-শুনে
কেনাকাটা নিশ্চয়ই করবেন। কিন্তু একটু তা একটু পরিকল্পনা করে করলেই ভালো। ইচ্ছেমতো কেনাকাটা না করে নজর রাখুন অনলাইন শপিংয়ে।
নিয়মিত ছাড় পাওয়া যায় ই-শপিংয়ে। অফ-সিজন সেলও থাকে। খোঁজ রাখুন, অনায়াসেই বড় ছাড় পেয়ে যাবেন।
২। যাতায়াতের খরচ কমান
সারাদিনের ক্লান্তির শেষে একটু আরাম করে বাড়ি যেতে সকলেই চায়। অনেকেই বাস বা ট্রেনে না গিয়ে ট্যাক্সি নিয়ে নেন। এই খরচকে কিন্তু ম্যানেজ করা যায়। নিজের জন্য আলাদা ট্যাক্সি না নিয়ে, শেয়ার ট্যাক্সিতে যান। আরামেও যেতে পারবেন, খরচও অনেকটা কমবে।
৩। প্রত্যেক দিন জিম নয়
আজকের দিনে ওয়ার্ক আউট ব্যাপারটা মোটেই সস্তা নয়। যদি এলাহি জিম হয়, বছরে খরচ অন্তত হাজার ২৫। আর যদি পার্সোনাল ট্রেনার থাকে, তাহলে তো খরচের অঙ্ক আরও বাড়বে। এত খরচের পরও আপনি নিয়মিতভাবে জিমে যেতে পারছেন কি?
৪। ইন্টারনেট ও মোবাইল বিলে রাশ টানুন
বাড়িতে ও অফিসে ওয়াই-ফাই পরিষেবা রয়েছে। অথচ মোবাইলে আলাদা করে ডেটা প্যাক রিচার্জ করছেন। হিসেব করে দেখলে, এই খরচ কিন্তু একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। কারণ, এতটা ডেটা সত্যিই প্রয়োজন হয় কি? টকটাইমের ক্ষেত্রেও তাই। অযথা নিয়ম করে প্রিপেড রিচার্জ না করে খোঁজ নিন আনলিমিটেড কলিং অফারগুলোর। এতে আপনার সাশ্রয় হবেই।
৫। বাড়িতে কি দুটো টিভিতে
আজকাল অনেকের বাড়িতেই দু’টি টিভি। আর দুটিতেই DTH কানেকশন। তার সঙ্গে নেটফ্লিক্স বা অ্যামাজন প্রাইমের মতো অনলাইন স্ট্রিমিং সার্ভিসের খরচ তো আছেই। ভেবে দেখার দরকার আছে, সত্যিই এত খরচ করে এতটা বিনোদন কেনার দরকার আছে কি না! সারা দিনের ব্যস্ততার শেষে এতটা সময় কি আমাদের থাকে? এই খরচটাও কিন্তু চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৬। স্টার্ট স্মল, সেভ বিগ
মাসিক খরচ থেকে কম করে ৫০০ টাকা করে জমাতে শুরু করুন। মিউচ্যুয়াল ফান্ডেও টাকা জমাতে পারেন। বছর শেষে দেখবেন একটা মোটা অঙ্কের টাকার মালিক হবেন আপনি।
৭। খাবার আর চা পানে সঞ্চয় করুন এভাবে
বাড়ির বাইরে বেরোলেই, বা অফিসে গেলেই প্রতিদিন যে টাকা খরচা করছেন, ওতটা কিন্তু না করলেও চলত। লাঞ্চ বক্সটা আবার বয়ে নিয়ে অফিস যেতে হবে, এই ভয়েই আপনি বাইরের লাঞ্চ করে নেন। চেষ্টা করুন সেটা না করার। বাড়ি থেকেই টিফিন বা লাঞ্চ অফিসে নিয়ে আসুন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন