সাইফুলের রুমে বৈদ্যুতিক তার দেখে পুলিশকে খবর দেয় ম্যানেজার
রাত ৩ টার দিকে সাইফুলের কক্ষে বৈদ্যুতিক তার দেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেন হোটেল ম্যানেজার। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
রাজধানীর পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের মালিক নুরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াট সদস্যদের অভিযানে নিহত হন সাইফুল ইসলাম। তিনি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের নোয়াকাঠি গ্রামের আবুল খয়েরের ছেলে।
৭ আগস্ট সাইফুল চাকরির কথা বলে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন। তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নুরুল ইসলাম বলেন, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে শেরে-বাংলা নগর থানার ওসি তার পাশের হোটেল ওলিও হ্যাভেনে আর নতুন কোনও অতিথি তুলতে না করেন। সে সময় তিনিও তার হোটেলে নতুন অতিথি উঠাতে বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার হোটেলটি কলাবাগান থানা এলাকায় পড়ায় তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।
তিনি জানান, রাত তিনটার দিকে হোটেল ম্যানেজার সাইফুল তাকে ফোন করে জানান যে, হোটেলের এক অতিথির চলাচল সন্দেহজনক। তার কক্ষে উঁকি দিয়ে বৈদ্যুতিক তার দেখা গেছে। তাই কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে।
নুরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হোটেলের বয়, গার্ড ও ম্যানেজারসহ ১২ জনকে নিয়ে গেছে। একজন গার্ডকে ছেড়ে দিয়েছে।
রাতের পর থেকে আর ম্যানেজার সাইফুলের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানান হোটেল মালিক।
উল্লেখ্য হোটেল ওলিও ও হ্যাভেনের মূল মালিক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হোটেল এরাম ইন্টারন্যাশনালের মালিক ফিরোজ চৌধুরী। হোটেল ওলিও গত মার্চ মাস থেকে লিজে চালাচ্ছেন নুরুল ইসলাম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন