সাকিবের স্পিন বিষে নীল হলো রাজশাহী কিংস

চলতি বিপিএলের পঞ্চম আসরে দেখা মিলছে না তার ব্যাটিং কারিশমার। তবে বল হাতে নিয়মিতই ঝলসে উঠছেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

সুনিল নারাইনরা ব্যাট হাতে ঝড় তুলে শক্ত ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন। আর বল হাতে ঘূর্ণি জাদু দেখিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসকে বিশাল জয় এনে দিলেন অধিনায়ক সাকিব। ২০৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে গেল রাজশাহী কিংস। ঢাকা জয় পেল ৯৯ রানে। ৪ ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ৮ রানে ৪ উইকেট নেন সাকিব।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০৬ রানের বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে রাজশাহী কিংস। দলীয় ১ রানেই সিমন্সকে বোল্ড করে দেন ঢাকা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১ রানের ব্যবধানে লুক রাইটকেও (০) বোল্ড করেন সাকিব। বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডারের তৃতীয় শিকার হন রাজশাহী অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ার আগে কোনো রান করতে পারেননি মুশি।
রাজশাহীর দলীয় ১৯ রানে চতুর্থ আঘাত হানেন মোসাদ্দেক। ৭ রান করা জাকির হাসান ধরা পড়েন জহুরুল ইসলামের গ্লাভসে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি রাজশাহী সামিট প্যাটেল একটু হাত খোলার চেষ্টা করেন। অপর প্রান্তে চলতে থাকে আসা-যাওয়ার মিছিল। উসামা মিরকে (১০) বোল্ড করেন আফ্রিদি। ওপেনিংয়ে নেমে টিকে থাকার লড়াই করতে থাকা মুমিনুল (১৯) পোলার্ডের বলে নাদিফের তালুবন্দি হন।

সাকিবের চতুর্থ শিকার হন সামিট প্যাটেল। ১৭ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন তিনি। মেহেদী মিরাজ যথারীতি ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাকে ১৬ রানে জহুরুলের গ্লাভসবন্দী করেন সাদমান। মোহাম্মদ সামিও (১) শিকার হন তার। এরপর কাজী অনিক ছক্কা মেরে দলের স্কোর ১০০ পার করেন। মুস্তাফিজকে (৭) বোল্ড করে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ৩ উইকেট নেওয়া সৈকত। মুস্তাফিজ ৭ রান করতে ১টি ছক্কাও মেরেছেন! এই পরাজয়ে শেষ চারের লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গেল রাজশাহী।

এর আগে আজ শনিবার দিনের দ্বিতীয় খেলায় টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড় গড়ে ঢাকা ডায়নামাইটস। দুই ওপেনার জো ড্যানলি এবং সুনিল নারাইন ধীর শুরুর পর হাত খোলেন। এতে অবশ্য রাজশাহীর ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের অবদান আছে। খেসারত হিসেবে ১৩১ রানের বিশাল ওপেনিং জুটি গড়েন দুজন। ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ৬ ওভার বাউন্ডারিতে ৬৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা সুনিল নারাইন মেহেদী মিরাজের বলে বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি।

নারাইনের বিদায়ের পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অপর ওপেনার জো ড্যানলি। ৩ নম্বরে নামা ডেলপোর্ট ০ রানেই শিকার হন মুস্তাফিজের। ৫৪ বলে ৫৩ রান করা ড্যানলিকে কট অ্যন্ড বোল্ড করেন কাজী অনিক। এরপর ঝড় তোলেন কায়রন পোলার্ড। তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ৭ বরে ১৪ রান করা শহিদ আফ্রিদি। শেষ ওভারে সামির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন ১৪ বলে ১ বাউন্ডারি আর ৪ ওভার বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করা পোলার্ড। ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২০৫ রান।