সাকিব-তামিম ছাড়া টাইগাররা যে লড়াই করেছে তা প্রশংসার যোগ্য : শেবাগ

সপ্তমবার এশিয়া কাপের ট্রফি জেতায় রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বীরেন্দ্রর শেবাগ। ফাইনাল ম্যাচে অসাধারণ খেলায় বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদেরও প্রশংসা করেছেন ভারতের সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার।

টুইটারে শেবাগ লেখেন, ‘এশিয়া কাপ ২০১৮ ট্রফি জেতায় ভারতীয় দলকে অভিনন্দন। অভিনন্দন বাংলাদেশ দলকেও। তারা তাদের সেরা দুই খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালকে ছাড়াও যে, লড়াই করেছে তা প্রশংসার যোগ্য। তাদের এই লড়াইকে আমি কুর্নিশ করি।’

শুধু শেবাগই নন, এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভিভিএস লক্ষণ।

এশিয়া কাপের ফাইনালে হেরে গেলেও শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী ভারতের মতো দলের বিপক্ষে ২২২ রানের পুঁজি নিয়েও লড়াই করেছে মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। ম্যাচের পরতে পরতে ছিল উত্তেজনা। থাকল নাটক আর রোমাঞ্চ।

কে হবে এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের চ্যাম্পিয়ন, সেটা জানার জন্য শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো। অবশেষে শেষ হাসি হাসল ভারত। টাইগারদের ৩ উইকেটে হারিয়ে সপ্তমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতে নিল ভারত।

এ নিয়ে তৃতীয়বার স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশের। এর আগে ২০১২ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে এবং ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে টাইগাররা। প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ রানের হারে বেদনাদায়ক চিত্রনাট্য রচিত হয়। আর সবশেষ টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হেরে দ্বিতীয়বার স্বপ্নভঙ্গ হয়। এবারো তার ব্যত্যয় ঘটল না।

শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ভর করে ২২২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২১ রান করেন লিটন। বাকি নয়জন ব্যাটসম্যান মিলে করেন ১০১ রান।

লিটন দাস এবং মেহেদি হাসান মিরাজের ওপেনিং জুটিতে ১২০ রান করার পর একটা সময়ে মনে হয়েছিল বাংলাদেশ তিনশ’ ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং এবং বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত ৪৮.৩ ওভারে ২২২ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ দল। ভারতের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন কুলদ্বীপ। ৪৫ রান খরচায় তিনি নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট শিকার করেন কেদার যাদব।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এছাড়া ৩৭ ও ৩৬ রান করে করেন দিনেশ কার্তিক ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। বাংলাদেশ দলের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান এবং রুবেল হোসেন।