সাতক্ষীরায় উপনির্বাচন কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০, আটক ২

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে উপনির্বাচন কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহতসহ ৫টি বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে।

শনিবার বিকাল তিনটার দিকে গদাইপুর জেহের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।

ঘটনাস্থলে বর্তমান পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। আহতরা হচ্ছে, তুহিন (৪০), মেহেদী (১৭), হজরত (২২), রেহেনা (৪০), ইউসুফ ( ৩৫), আনারুল (৩৮) অপারপক্ষের ডাকাত খোকন (৫০), বাপ্পি (৪২) অন্তত ১০ জন। এদের মধ্যে তুহিন ও মেহেদির সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আগামী ২৭ জুলাই উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এস এম শাহনেওয়াজ ডালিমের বাড়ির সামনে মিছিল সহকারে এসে গালিগালাজ করতে থাকে প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী অহিদুল ইসলাম মোল্লার সমর্থকরা। এক পর্যায় দুই সমার্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে দফায় দফায় সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে অহিদুল সমর্থিত ডাকাত খোকন ও বাপ্পি মোল্লাকে আটক করে।

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব এস এম শাহনেওয়াজ ডালিম জানান, শনিবার দুপুরে হঠাৎ আনারস প্রতীকের সমর্থক রা দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে আমার বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হামলা চালায়। এতে আমার ভাবিসহ পাঁচ ছয় জন গুরুতর আহত হয়েছে।
এর মধ্যে তুহিন ও মেহেদির অবস্থা আশঙ্কর জনক বলে তিনি জানান।

তবে আনারস প্রতীকের প্রার্থী অহিদুল ইসলাম মোল্যার দাবি- দুপুরে শোডাউন করার সময় ডালিমের সমর্থকরা তার মিছিলে হামলা চালিয়েছে।

আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান, হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পরিবেশ শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।