আর্থিক সাহায্যের আবেদন

সাতক্ষীরায় পেমফিগাস ভালগারিস রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শরিফা

সাতক্ষীরায় পেমফিগাস ভালগারিস রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ৪০ বছর বয়সী শরিফা খাতুন। তিনি সাতক্ষীরার পৌরসভার তালতলা এলাকার ভাজা বিক্রেতা তারিকুল ইসলামের স্ত্রী। বর্তমানে অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসাসেবা না পেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।

সরেজমিনে অসুস্থ্য শরিফা খাতুনের বাসাতে যেয়ে দেখা যায়, তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পচেঁ গিয়ে ভয়ার্ত রূপ নিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অর্থ-অভাবে চিকিৎসা না পাওয়াতে ক্রমশ তিনি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। তারপরেও দুই চোখে তার বাঁচার করুন আকুতি।

এব্যাপারে তারিকুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া সুলতানা জানান, একজন মানুষের শরীলের কোন অংশে একটু ঘা-পাঁচড়া হলে কেমন হয়? সেখানে আমার মায়েরতো পুরো দেহতে ঘা-পাঁচড়া। তবুওতো আম্মাকে বাঁচাতে হবে।

অনেকটা আক্ষেপ নিয়ে তানিয়া সুলতানা বলেন, মায়ের অসুস্থার মধ্যদিয়েও চলতি বছর এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তবে এই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম ফিলাপের টাকা দেওয়ার সামর্থ্য ছিলনা তার পরিবারের। একপর্যায়ে দোকানে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে ফরম ফিলাপ করে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল তাকে। বর্তমানে অন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেও সেখানে যাওয়া হয়না। বই কেনার সামর্থ্যও নেই যে বাসা থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাবো। এজন্য নিজের স্বপ্নকে অধরা রেখে মায়ের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। এসময় মায়ের চিকিৎসায় সমাজের বিত্তবান মানুষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এব্যাপারে অসুস্থ্য শরিফা খাতুনের স্বামী তারিকুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে তার স্ত্রী শরিফা খাতুনের দেহে একধরনের লাল দাগ দেখা যায়। পরে সেখানে ঘা হয়ে পচঁনের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে সাতক্ষীরা-খুলনা ও ঢাকাতে নামকরা হাসপাতালে শরিফা খাতুনের চিকিৎসা করা হলেও দিনে দিনে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ইতিমধ্যে সারাজীবনের অর্জিত অর্থের পাশাপাশি দুইটা এনজিও থেকে এক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে শরিফার চিকিৎসাসেবায় খরচ করেছি। তবে কোন সুস্থতা লক্ষ করা যায়নি। বরং দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন শরিফা বলে জানান তিনি।

অনেকটা আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, হায়াত-মউতের মালিক আল্লাহ্। আমি চাই যে’কদিন সে বেঁচে থাকে অন্তত্য চিকিৎসাটা যেন তাকে দিতে পারি। তবে আমার সব থেকেও বর্তমানে কিছু নেই। স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে যেয়ে দুই ছেলেমেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এজন্য স্ত্রী শরিফা খাতুনের চিকিৎসাসেবায় সমাজের বিত্তবানসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। যোগাযোগ নম্বর 01719566069 তারিকু্ল ইসলাম।