সাতক্ষীরায় প্রার্থনা, আলোচনা ও আনন্দ আয়োজনে বড়দিন উদযাপন

সাতক্ষীরায় মহা ধুমধামে বড়দিন উদযাপন করা হয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর রবিবার প্রথম প্রহরে সুলতানপুর বাটকেখালী গীর্জাতে পবিত্র বাইবেল থেকে বাণী শুনিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে গো’শালায় আত্মার শুদ্ধতম শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে ও কেক কেটে প্রভু যীশুর জন্মদিন তথা বড়দিন উদযাপন করা হয়েছে। প্রার্থনাপর্ব পরিচালনা করেন ফাদার লরেন্স ভালোত্তি।
সকালে খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে আপ্যায়ন আর বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির আয়োজনও করা হয়। ঋশিল্পীতে (প্রতিবন্ধী) সুবর্ণ শিশুকিশোরদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ উপহার প্রদান অনুষ্ঠান। সেখানে সবাইকে বড়দিনের উপহার প্রদান করেন একই সাথে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঋশিল্পী প্রধান এনসো ফ্যালকন।
অতিথিদের আপ্যায়িতকরেন লাওরা মিলানো। অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা পর্বে আলোচনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক দেশ টিভি’র শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক আমিনা বিলকিস ময়না।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এনসো ফ্যালকন বলেন, মানবতার সেবাই হচ্ছে সবথেকে বড় ধর্মচর্চা। মানবিকতার বিপর্যয় ঘটলে ধর্মও বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। তাই দরকার মানুষে মানুষে ভেদাভেদহীন কল্যাণকর এক সমাজ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় হুইলচেয়ার (বিশেষ) ক্রিকেট দলের সহ অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার উজ্জল বৈরাগী। আলোচনা ও আনন্দ আয়োজনে অংশ নেন, রাকিব হোসেন, সিয়ামছামী তৃষান, নিলয় মন্ডল, জাহিদ মোড়ল, অমৃত সরদার, রাসেল গাজী, সজল হেমব্রম, তামিম সুলতানা, বিশ্বজিত মন্ডল, সাহারা আক্তার, সুজন মাঝি, আব্দুল মান্নান, সাথী দাস, রুপালী সরকার, রাহেল মজুমদার. প্রাপ্তি চৌধুরী প্রমুখ।
সন্ধ্যায় সুলতানপুর বাটকেখালী গীর্জার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় জমজমাট সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও কনসার্ট।
প্রসঙ্গত, জেলার ১৫৬টি ছোট বড় গীর্জায় মহাধুমধামে পালিত হয়েছে বড়দিন উৎসব। তবে সাতক্ষীরা সদরের সুলতানপুর বাটকেখালী ও আশাশুনির বড়দলের গীর্জার আয়োজন ছিল চোখ ধাধানো। এছাড়া সব গীর্জাগুলোতেও ছিল প্রার্থণা আর ভাবগাম্ভির্য্যে ভরা এক অন্য পরিবেশ।