সাতক্ষীরায় বাসন্তী পূজা মন্দিরে প্রসাদ খেয়ে এক শিশুর মৃত্যু, অসুস্থ শতাধিক
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বাসন্তী পূজা মন্দিরে প্রসাদ (খিচুড়ি) খেয়ে কাব্য দত্ত নামের এক শিশু মারা গেছে। এছাড়া অসুস্থ হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি।
সোমবার সকালে গুরুতর অসুস্থ্য শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ডুমুরিয়া এলাকায় সে মারা যায়।
কাব্য দত্ত খুলনার চুকনগর সংলগ্ন শৈলগাতী গ্রামের উত্তম দত্তের ছেলে। মাকে সাথে নিয়ে সে তার নানা অশোক দত্তের বাড়িতে বেড়াতে এসে পূজায় অংশ নেয়। তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অসুস্থরা হলেন, কাব্য দত্তের মা তিথী দত্ত (২৫), বানিয়াজাংগাল গ্রামের দিপু সেন (৩২), সুব্রত দত্ত (৩৪) পরিমল মন্ডল (৪২), তপন মন্ডলসহ (৩৮) শতাধিক ব্যক্তি।
কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর বানিয়াজাংগাল বাসন্তী পূজা মন্দিরের সভাপতি শংকর দত্ত বলেন, শনিবার রাতে মন্দির প্রাঙ্গনে পূর্ণিমা তিথি উপলক্ষে পূজা-অর্চনা চলছিল। কীর্তন শেষে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। পরদিন প্রসাদ খাওয়া ভক্তদের অনেকেই বমি ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হন। সময় বাড়ার সাথে সাথে অসুস্থদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ২০/২৫ জনকে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৫ জনকে খুলনার আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া অন্যান্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন।
মন্দির কমিটির সদস্য নিমাই সেন জানান, কীর্তন শেষে ৪ বালতিতে করে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছিল। প্রসাদ খেয়ে কারো কারো পাতলা পায়খানা হয়েছে,আবার অনেকেরই কোন সমস্যা হয়নি।
কালিগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহীন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রোববার রাতে কাব্য দত্তকে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সোমবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু খুলনায় পৌছানোর আগেই ডুমুরিয়া এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল কবির জানান, বানিয়াজাংগাল মন্দিরের আশপাশে টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা করা হয়েছে কিন্তু পানির কোন সমস্য পাওয়া যায়নি।
খাদ্যে বিষক্রিয়ার বিষয়ে চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, খিচুড়িতে বিষ প্রয়োগের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। রান্নার অনেক ঘন্টা পরে বিতরণ করা হয়েছিল বিধায়, খিচুড়িতে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে পাতলা পায়খানা বা বমি হতে পারে।
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৩৪ জন চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। একটু আগে আরও ৩ জন এসেছেন। অসুস্থদের প্রধানত স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। ৩৪ জনের মধ্যে অধিকাংশ এখন সুস্থ রয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন