সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের ৪র্থ দিন

করোনা সংক্রমণ রোধে সাতক্ষীরায় চলছে সাতদিনের লকডাউন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ঘোষিত সাত দিনের এ লকডাউনের ৪র্থ দিনে তিন স্তরে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সড়কে পুলিশ, সীমান্তে বিজিবি ও মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মধ্যদিয়ে চলছে লকডাউন।

তবে কঠোর বিধি নিষেধ থাকলেও মানছে না মানুষ। গত ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের সাতদিন লকডাউন ঘোষণা করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। লকডাউনের চতুর্থ দিনে বেশ কিছু কঠোর বিধি নিষেধ লক্ষ্য করা গেলেও সাধারণ মানুষ মানছেন না বিধি নিষেধ। লকডাউন চলাকালে সাতক্ষীরার সাথে খুলনা ও যশোরের সংযোগস্থলে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে একইভাবে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ভোমরা স্থল বন্দরে আসা ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপারদের বন্দরে খোলামেলা চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এদিকে সাতক্ষীরা সীমান্ত পথে বৈধ-অবৈধ যাতায়াত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সীমান্ত জুড়ে টহলে রয়েছে বিজিবি সদস্যরা। সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারী, টহল তৎপরতা এবং বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে বিজিবি। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গণমানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। এখনো প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অনেকেই বের হচ্ছেন।

কঠোর অবস্থানে জেলা পুলিশ। বেআইনিভাবে চলাফেরার জন্য মামলা, জরিমানা এবং গাড়ি জব্দ করা হচ্ছে। লকডাউন কার্যক্রম পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আল মাহমুদ বলেন, সাতক্ষীরায় তার ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ ৩৬ কিঃ মিঃ স্থল সীমানা এবং ১৮ কিলোমিটার নদী সীমানা সর্বমোট ৫৪ কিঃ মিঃ এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা প্রদান করে আসছে বিজিবি জোওয়ানরা। গত ২৮ এপ্রিল হতে ৫ জুন পর্যন্ত সর্বমোট ৬৮৪টি অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের প্রাক্কালে ৩৯জন (বাংলাদেশী-৩৮ জন ও ভারতীয় ১জন) এবং ২জন মানবপাচারকারী আটক করা হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তিদের মধ্যে খাদিজা বিবি নামের এক ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ’র নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, জেলার ২৪ লাখ মানুষের জীবনের কথা চিন্তা করে প্রথম পর্যায়ে সাতদিনের লকডাউন দেয়া হয়েছে। চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, সীমান্তে রয়েছে অতন্ত্র প্রহরী বিজিবি, জেলা ও উপজেলা শহর হয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে রয়েছে পুলিশ, র‍্যাবসহ সরকারের অন্যান্য বাহিনী। মানুষের সাথে ভাল আচরণের মধ্যদিয়ে ঘরে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।