সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হ*ত্যা*র পর স্বামীর আ*ত্ম*হ*ত্যা

পারিবারিক কলহের কারণে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিকড়ি গ্রামে স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে (২৮) শ্ববাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী আব্দুল জলিল সম্রাট (৩৬) আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। সোমবার বিকেলে এঘটনা ঘটে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।

আব্দুল জলিল সম্রাট সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিকড়ি গ্রামের মৃত আবুল ঢালীর ছেলে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত সম্রাটের শ্বশুর সদর উপজেলার কুশখালি গ্রামের নূর ইসলাম জানান, তার মেয়ে ফাতেমার সাথে সম্রাটের ১৩/১৪ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ১১ বছর বয়সী একটি ছেলে ও ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। সম্রাট দিনমজুরের কাজ করে। সংসারের দৈন্যতা ঘোছাতে ফাতেমা বছর খানেক আগে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি সম্রাট। রোববার সন্ধ্যায় ছেলে-মেয়েদের রেখে ফাতেমা স্বামীর বাড়িতে আসে। সোমবার দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা স্বামী-স্ত্রী বিশ্রাম নিতে দরজার খিল লাগিয়ে শোবার ঘরে যায়। দীর্ঘক্ষণ তাদের সাড়া-শব্দ না পেয়ে সন্ধ্যার দিকে সম্রাটের মা তাদের দরজায় ধাক্কা মেরে ডাকাডাকি করতে থাকে। এতেও তাদের সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সম্রাটকে ঘরের আড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখে। পাশাপাশি স্ত্রী ফাতেমাকে পরনের পায়জামা দিয়ে গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের ঢাকাতে রেখে আসার কারণে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া চরমে উঠার একপর্যায়ে ফাতেমাকে হত্যা করে জামাই আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করেন নূর ইসলাম।

সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুশান্ত ঘোষ জানান, স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।