শিক্ষা ব্যুরোর তথ্য

সাতক্ষীরায় ৯ মাসে করোনায় ৩২ ও উপসর্গ নিয়ে ১৪০ মৃত্যু

করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা জেলায় গত ৯ মাসে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছছ। এসময় আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৯ জন। তার মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে পজেটিভ ১১৫৮ জন এবং নেগেটিভ পাওয়া গেছে ৪৮৩৬ জন।

বুধবার সাতক্ষীরার শিক্ষা ব্যুরোর উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়- জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ঘটেছে ১৪০ জনেরও অধিক মানুষের।

অপরদিকে এই সময়ের মধ্যে ১০৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে চিকিৎসক ছিলেন ২২ জন, নার্স ছিলেন ১৯ জন এবং অন্যান্য ছিলেন ৬৫ জন। কর্মশালায় করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরত্ব আরোপ করে বলা হয়, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মৃত্যুর হার আক্রান্তের শতকরা ১ ভাগেরও কম।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিস মিলনায়তন আয়োজিত কর্মশালায় বক্তব্যে রাখেন সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়ত, ডা. সাইফুল্লাহ কাফি, ডা. পুলক কুমার চক্রবর্তী ও শাহীনুর খাতুন।

কর্মশালায় বলা হয়- করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রামক ব্যাধি। এ ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে হলে পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। করোনার শুরুতে সর্দিজ্বর, শুকনা কাশি, গলায় ব্যথা, ডায়রিয়া, আঙুল ও পায়ের পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া সহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এমন ক্ষেত্রে অবশ্যই আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রেখে কমপক্ষে ১৪ দিন চিকিৎসা দিতে হবে। তার সংস্পর্শে কেউ গেলে তিনিও আক্রান্ত হতে পারেন উল্লেখ করে কর্মশালায় আরও বলা হয় রোগীর মানসিক অবস্থা শক্ত রাখার জন্য তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধপত্র ব্যবহার করা উচিত। এমনকি রোগীর জন্য পৃথক বাথরুমের ব্যবস্থা করলেও ভাল হয়। বাংলাদেশ অসংক্রামক ব্যাধিতে ৬২ শতাংশ রোগী মারা যাচ্ছে এমন তথ্য উল্লেখ করে সিভিল সার্জন বলেন, ৬৪ জেলায় ১২৮টি আদর্শ গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রাম পূর্নাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবার যাবতীয় ব্যবস্থা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গ আরও বলা হয়, খোলা জায়গায় মলত্যাগ না করা, বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার সহ নানা বিষয় রয়েছে এর মধ্যে। ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমেও তাদের সেবা দেওয়া হয়ে থাকে।

সাতক্ষীরার সকল বিদ্যালয়ে খুদে ডাক্তারের চিকিৎসা চালু রয়েছে উল্লেখ করে কর্মশালায় আরও বলা হয়, পোশাক শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এসবের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব বলেও জানানো হয়। তাছাড়া মাস্ক ব্যবহার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, হাঁচি, কাশি ও থুতু থেকে নিজেকে সতর্ক রাখা এবং অন্যকেও সতর্ক করা সহ একই সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহবান জানানো হয়।