থানায় মামলা
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা, আটক-৫

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ভারতীয় ফেনসিডিলসহ আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাজীরহাট বাজারের ব্রাক মোড়ের মোসলেম কারিকরের চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার দুপুরে আটককৃত পাঁচজনকে আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কলারোয়া গ্রামের উত্তর দিগং গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে সোহাগ হোসেন, হারুণ অর রশীদের ছেলে জহুরুল ইসলাম, বাবু কাগুচীর ছেলে রাসেল হোসেন, মুনসুর কারিকরের ছেলে মোসলেম কারিকর ও আলমগীর কাগুচির স্ত্রী নাসরিন খাতুন।
মামলার বাদি ও কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক নিকুঞ্জ রায় এর দায়েরকৃত মামলা থেকে জানা গেছে, তিনি ও তার সহকর্মী উপপরিদর্শক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ শুক্রবার রাতে মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ইউরেকা পেট্রোল পাম্পের পাশে অবস্থান করছিলেন। রাত ৯টার পরে মোসলেম কারিকরের দোকানের সামনে পৌঁছালে সোহাগ হোসেন নামের এক যুবক হাতে ২০/২৫ বোতল ফেনিসিডলসহ পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাকে আটক করে হাতকড়া পড়ানোর সময় আটককৃত আসামীসহ বাদশা, মনিরুল, বাবু কাগুচী, মুজিবর কাগুচী ও ছবিরণসহ ১০/১২ জন জহুরুল ও রাসেল সোহাগের হাতে থাকা ফেনসিডিলের ব্যাগ কেড়ে নিয়ে সোহাগকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় তারা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে উপপরিদর্শক মিজানুর রহমানের বাম হাতের কনুইতে হাড়ভাঙা জখম করে।
খবর পেয়ে কলারোয়া থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পাঁচজন হামলাকারিকে আটক করে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুল আরেফিন জানান, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ফেনসিডিলসহ সোহাগকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এ অভিযোগে উপপরিদর্শক নিকুঞ্জ রায় বাদি হয়ে শনিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আটককৃত পাঁচজনসহ ১০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে।
আটককৃত পাঁচজনকে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন