সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন তারা। সরিষা ফুলের মধু খাঁটি ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানসহ বিদেশে ও রপ্তানি হচ্ছে। এর মাধ্যমে চাষিরা একদিকে আর্থিকভাবে যেমন লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে দূর হচ্ছে বেকারত্ব। পাশাপাশি সরিষা ফুলে মৌমাছি দ্বারা পরাগায়নের ফলে সরিষার বাম্পার ফলন হচ্ছে।
আবুল কাশেম নামে একজন কৃষক জানান, এই সরিষা মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালীগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে থেকে মৌ চাষীরা আমাদের উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠের সরিষা ক্ষেতে মধু সংগ্রহের জন্য বাক্স স্থাপন করেছে। এমনি একটি দৃশ্য কলারোয়া-খোরদো রোডের আলাইপুর প্রাইমারি স্কুলের সামনের মাঠে দেখা গেছে।
জেলার আশাশুনি থেকে আসা মৌচাষি আমিরুল গাজী বলেন, সরিষা ক্ষেত থেকে আমরা বছরে চার মাস মধু সংগ্রহ করি। অন্য আট মাস কৃত্রিম পদ্ধতিতে চিনি খাইয়ে মৌমাছি পুষে রাখা হয়। গত বছর মে মাস থেকে গত বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মৌমাছি পুষতে প্রায় সাত লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সরিষা থেকে মধু সংগ্রহের উপযুক্ত সময়। তখন সর্বত্র সরিষার ফুল ফোঁটে।
তিনি আরো বলেন, আকার ভেদে একটি বাক্সে ৩০-৪০ কেজি পর্যন্ত মধু পাওয়া যায়। এখানে মৌ চাষের বিশেষ বাক্স কলোনি রয়েছে ১০০টি। প্রতিটি কলোনিতে খরচ হয় ৬-৭ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজি মধু বিক্রি হয় ৩০০-৩৫০ টাকা দরে। প্রতি কলোনিতে লাভ হয় ৫ হাজার টাকার মতো।
এছাড়া, মধু চাষের ফলে সরিষার ফলন বৃদ্ধি পায় এবং পোকামাকড় আক্রমণ কম করে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শুভ্রাংশু শেখর দাস বলেন, আমরা মধু চাষিদের সরিষার জমি থেকে মধু সংগ্রহে উৎসাহিত করে থাকি। এতে সরিষার পরাগায়ন যেমন ভালো হয়, আবার তেলের উৎপাদন বাড়ে। ফলে কৃষক ও মৌচাষি উভয়ই লাভবান হন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন