সাতক্ষীরার কলারোয়া জয়নগরের কৃতি সন্তান নাট্যকার মানস পাল

নাটক বিনোদন ও জ্ঞানের উৎস, মনের খোরাক মেটায়। আর সেটা যদি হয় হাস্য রসাত্নক তবে তো কথায় নেই। আর এমনই ধারাবাহিক, টেলিফিল্ম ও খন্ড নাটক রচনা করে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন জনপ্রিয় নাট্যকর মানস পাল। ক্ষুদ্র থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এখন তিনি স্বনামধন্য নাট্যকর হিসেবে দেশে বিদেশে স্বমহিমায় পরিচিত।
নাট্যকর মানস পাল একদিনের না, দীর্ঘ ত্যাগ, পরিশ্রম, অধ্যাবসায় ও প্রবল ইচ্ছা শক্তির থেকেই আজকের মানস পালের জন্ম।
মানস পালের রচিত উল্লেখযোগ্য, টেলিফিল্ম ও খন্ড নাটক অভাগিনী মা, অনুভবে অনুভূতি, দু’ফোঁটা বৃষ্টি, আপন পর। হেলিকপ্টার, মেঘ ভাঙ্গা রোদ, ভরসা কোচিং সেন্টার, বউ চুরি, লাফ এন্ড লাভ, দুষ্টু প্রেমের মিষ্টি গল্প, ওরা বখাটে, কুটুম পাখি, প্রবাসীর বউ ১, প্রবাসীর বউ ২, যুদ্ধশিশু সহ শতাধিক।
তিনি মিডিয়াতে নাট্যকার হিসাবে নাটক লিখছেন প্রায় দেড় যুগের মত। ভাবী, তালবাহানা, মন ও চোরাগলি, দুলাভাই জিন্দাবাদ, ডন, গোলমাল, চুপিচুপি, বউ দৌড়, বাওকুমটা বাতাস, রঙিলা পুতুল, পাল্টা হাওয়া, আরশিনগর, উল্টো পথে উল্টো রথে সহ কয়েক হাজার পর্বের ধারাবাহিক নাটক লিখেছেন, যা নিয়মিত বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী চ্যানেলে প্রচারিত হয়।
তার নাটকে অভিনয় করতে দেখা গেছে দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা- অভিনেত্রীদের। তারমধ্যো রয়েছেন এটি এম শামসুরজ্জামান, মোশারাফ করিম, চঞ্চল চৌধুরি, জাহিদ হাসান, শামীম জামান, আখম হাসান, মীর সাব্বির, রাইসুল ইসলাম আসাদ, আবুল হায়াত, আনিসুর রহমান মিলন, দলি জহুর, সুইটি, চম্পা, আলভী, ফারিহা, বিন্দু, তারিন, ভাবনা সহ নামকরা সব অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
সম্প্রতি একটি নাটকে নাট্যকার মানস পালের মেয়ে অরিত্রী পালকে অভিনয় করতে দেখা গেছে তারই রচিত একটি ধারাবাহিক নাটকে। অরিত্রীর প্রথম অভিনীত টেলিফিল্ম খেয়ালি বাতাস প্রচারিত হয় চ্যানেল আইয়ে। খেয়ালি বাতাসও তার বাবা মানস পালের লেখা। বর্তমানে তার অভিনিত ধারাবাহিক নাটক রঙিলা পুতুল প্রচারিত হচ্ছে বাংলাভিশনে।
অরিত্রী পাল সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পি রুনা লায়লার সাথে একই মঞ্চে গান গাওয়ার সুযোগ হয়েছে তার।
মানস পালের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নাট্যকার হওয়ার অনুপ্রেরণা তার বাবা নিমাই চন্দ্র পাল। নিমাই পাল ছিলেন একজন বিখ্যাত মঞ্চ ও যাত্রাভিনেতা। পাশাপাশি তিনি যাত্রাপালা পরিচালনাও করেছেন। বাবার অভিনয় দেখে তিনি নাট্যকার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। এখন তিনি দেশের একজন স্বনামধন্য নাট্যকর। পাশাপাশি তিনি একজন গীতিকার, উপন্যাসিকও।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয় বড় হয়ে তার মেয়ে অভিনেত্রী নাকি কন্ঠ শিল্পী হবে? মেয়ে বড় হয়ে কি হবে সেটা তিনি অরিত্রীর উপরই ছেড়ে দিয়েছেন। তার ইচ্ছা মেয়ে ভালো কিছু করে এলাকার ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করুক।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন