সাতক্ষীরার কলারোয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের চেহারা পাল্টানো বিদায়ী টিএইচও’র মতবিনিময়
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ এন্ড এফপিও) ডাক্তার জিয়াউর রহমান বদলি হয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে। বুধবার (৯ মার্চ) ছিলো কলারোয়ায় তার শেষ কর্মদিবস। এদিন তিনি মতবিনিময় করলেন সাংবাদিকদের সাথে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর কলারোয়ায় যোগদান করেন ডাক্তার জিয়াউর রহমান। ২ বছর ২ মাস ১০ দিনের দায়িত্ব পালনকালে তার কর্মযজ্ঞতা নিয়ে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, ‘এখানে যোগদান করে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছিলাম, শেষ কর্মদিবসেও মতবিনিময় করে যাচ্ছি। সকলের সহযোগিতায় কলারোয়া হাসপাতালসহ উপজেলার স্বাস্থ্য খাতকে পরিমার্জন করার চেষ্টা করছি। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার প্রদত্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। প্রাতিষ্ঠানিক, অবকাঠামো, সেবার পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আমূল পরিবর্তনসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করেছি।’
তিনি আরো বলেন, গতকাল পর্যন্ত ২ লক্ষ ৬ হাজার ২৮৫ জনকে করোনা টিকার ১ম ডোজ দেয়া হয়েছে। জনসংখ্যার হিসেবে যা সাতক্ষীরা জেলার অন্য উপজেলার মধ্যে শীর্ষ, শতকরা ৭৩ ভাগ আর ১২বছরের শিশু ধরলে ৯৯ ভাগ। ২য় ডোজ ৬২ ভাগ আর বুস্টার ডোজ চলমান।
ডাক্তার জিয়াউর রহমান বলেন, হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে মেশিনে, টিবি রোগিদের জিন এক্সপার্ট বিভাগ স্থাপন, র্যাঙ্কিংয়ে দেশের শীর্ষ ৪ এ অবস্থান, অপারেশন (ওটি) কার্যক্রম শুরু, ফুল, বনজ ও ফলজ গাছ গাছালি রোপণ করা, আবাসিক কম্পাউন্ড আলাদা করা, যা অচিরেই কাজ শুরু হবে, হাসপাতালের গেটের সামনের ক্যানেল পুনরুদ্ধার করে প্রাচীর নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সার্বিক কার্যক্রমে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, বর্তমান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, সাংবাদিক, পুলিশ, ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই সহযোগিতা করেছেন।
অনুষ্ঠানে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম ও মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ- এমওডিসি) ডাক্তার গাজী আশিক বাহার বক্তব্য রাখেন।
ডাক্তার শফিকুল ইসলাম ও ডাক্তার গাজী আশিক বাহার বলেন, নতুন মসজিদ স্থাপন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেট, রাস্তা, ডিজিটাল নামফলক, রাতে ভুতুড়ে অবস্থা কাটিয়ে হ্যালোজেন লাইটে আলোর ব্যবস্থা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, ফুলের বাগান, সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যসেবার তালিকা, সুশাসন নিশ্চিত করা, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আধুনিকরণ, বহি:বিভাগসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিষ খাওয়া রোগিদের ওয়াশ শেড স্থাপন, নতুন শয্যা, বাজেট, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম, কোয়ার্টার, পুকুর পাড় সংস্কার, নতুন চেয়ার টেবিল সংযোজন, টিকিট কাউন্টার ও ফার্মাসি পৃথকীকরণ, হেল্প ডেস্ক কর্নার স্থাপন, ইপিআই কর্নারে, শিশু ও গর্ভবতী ডেস্ক, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইপিআই ভ্যাকসিন, ইন্টারনেট আওতায়, কনফারেন্স রুম, অফিস টাইম মেইন্টেন নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের মধ্যে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অবস্থান চতুর্থ, নতুন এম্বুলেন্স, সিজারিয়ান অপারেশনসহ স্বাস্থ্য সেবা দিতে গিয়ে সার্বিক পরিবেশ পরিবর্তন করেছেন বিদায়ী ইউএইচ এন্ড এফপিও ডাক্তার জিয়াউর রহমান।
মতবিনিময়ে আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ, সহকারী অধ্যাপক কেএম আনিছুর রহমান, এসএম জাকির হোসেন, প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, সরদার জিল্লুর রহমান, আরিফুল হক চৌধুরী, মোর্তাজা হাসান, ফারুক হোসেন রাজ, এসএম ফারুক হোসেন, জাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত এবং কলারোয়া প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ক্লাবে সম্পৃক্ত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন