সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জমিজমা বিরোধে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারী) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের দেয়াড়া মাঠপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমজেদ গাজী (৬৫) দেয়াড়া মাঠপাড়া এলাকার মৃত ওমর আলী গাজীর পুত্র।
এ ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করেছে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো.আফজাল হোসেন, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবিরসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনাস্থলের অদূরে উপজলোর খোরদো পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মামুনুর রহমান জানান, ‘জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো মৃত ওমর আলী গাজীর পুত্র ছাত্তার গাজীর সাথে তার চাচাতো ভাই ছাকাত আলী গাজীর পুত্র আনছার আলী গাজীর সাথে। জমিটি নিয়ে মামলা থাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞাও ছিলো। ছাত্তার গাজির বাড়ির সামনে বিরোধপূর্ণ সেই জমির পুকুরে গেলে ছাত্তার গাজীর আপন ভাই আমজেদ গাজীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় তার চাচাতো ভাই আনছার গাজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারপিটের শিকার হন আমজেদ গাজী। তাকে কলারোয়া হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন ছাকাত গাজীর পুত্র আনছার গাজী (৬৮), তার স্ত্রী ফুলমতি (৫০), পুত্র দেলোয়ার হেসেনের স্ত্রী রিতা খানম (২৩) ও আরেকপুত্র শাহ আলম গাজীর স্ত্রী মোছা.ফাহিমা খাতুন (২২)।’
দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফে জানান, ‘আমজদে গাজী ও আনছার গাজী আপন চাচাতো ভাই। দু’জনই বয়স্ক মুরব্বি। বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এক ভাই জমিতে গেলে আরেক ভাই বাঁধা দেন। পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে পড়ে গিয়ে আমজেদ গাজী মারা যান।’
দেয়াড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল মান্নান জানান, ‘নিহত আমজেদ গাজী ও তার চাচাতো ভাই আনছার আলী গাজীর বসবাস পাশাপাশি। জমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন চাচাতো ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। জমিতে একপক্ষ খুটি পোতে, আরেকপক্ষ খুটি তোলে-এমন অবস্থা। মঙ্গলবার মারপিটে আজমেদ গাজী মারা যান।’
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, ‘এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৪জনকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে, নিহতের ছেলে সুমন জানান, বাড়ির পাশের মাত্র ১০কাঠা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। বিজ্ঞ আদালতে এ বিষয়ে মামলাও চলমান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন