সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিএনপি-জামায়াতের ১৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নাশকতা মামলায় ১৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতার সকলে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার- জয়নগর ইউনিয়নের গাজনা গ্রামের মৃত ইমান আলী সানার পুত্র মো. মফিজুর রহমান, গাজনা গ্রামের ওমর আলী সানার পুত্র আব্দুল মালেক, ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের গফুর গাজীর পুত্র দবীর উদ্দিন (৪২), একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র মো. কামরুজ্জামান শাহীন (৪২), একই গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর পুত্র মিজানুর রহমান (৪৫), সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম সরদারের পুত্র মো. মিলন ওরফে শাহানুর (৪২), হেলাতলা ইউনিয়নের ব্রজবাকসা গ্রামের আতিয়ার রহমানের পুত্র আমানুল হক, চন্দনপুর ইউনিয়নের চান্দুড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র সালাম মাহমুদ, কাঁদপুর গ্রামের ইয়ার আলীর পুত্র আতাউর রহমান, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের রুদ্রপুর তৈলকাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আরিফুল ইসলাম, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বাগাডাঙ্গা গ্রামের দাউদ আলীর পুত্র সাইফুল ইসলাম, একই গ্রামের আশরাফ আলী গাজীর পুত্র আস্তানুর রহমান, দেয়াড়া ইউনিয়নের দেয়াড়া দফাদার পাড়ার আব্দুল বারীর পুত্র কবির আহমদ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সাতক্ষীরা আদালতে কলারোয়ায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহর হামলা মামলার রায় ঘোষনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দিবাগত রাতে জেলাব্যাপী পুলিশি অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের আটকের খবর পাওয়া গেছে। কলারোয়া ছাড়াও শ্যামনগর ও জেলার অন্যান্য এলাকায় সোমবার দিনগত গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত পুলিশি অভিযানে গ্রেফাতরের খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে, মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার দুটি মামলার রায় ঘোষণা করেছে সাতক্ষীরা স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডল।
ওই মামলার অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের পৃথক দুটি অংশের প্রত্যেকটিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের বাচ্চু, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান রনজু ও সাবেক ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান রিপনকে যাবজ্জীবন এবং অপর ৪৪ জন আসামীর প্রত্যেককে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামীদের মধ্যে একই ঘটনা থেকে উদ্ভুত অপর একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা ৩৭ জন ও জামিনে মুক্তি পাওয়া একজন আদালতে হাজির ছিলেন। অন্যান্য আসামীরা পলাতক রয়েছে।
আসামীদের মধ্যে মাহফুজুর রহমান সাবু ও জাবিদ রায়হান লাকি নামের দুইজন দন্ড ভোগ করা অবস্থায় কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার দন্ডবিধি অংশে ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) যখন আসামিদের আদালত থেকে বের করে প্রিজনভ্যানে তোলা হচ্ছিলো তখন আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। মুহুর্মুহু স্লোগানে সাবেক এমপি হাবিবের প্রতি সমর্থন জানান দেন তারা। সেসময় পুলিশ সেখান থেকে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দনসহ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
এর পরপরই সেখানে পাল্টা মিছিল করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন