সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মুরগি-গরু মাংসের বাজারে আগুন, বাজার তদারকির দাবি
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মাংসের বাজারে আগুন লেগেছে। চলতি রমজান মাসে বিনা কারণেই ভোক্তা পর্যায়ে কেজিপ্রতি বিভিন্ন মাংসের দাম বেড়েছে কয়েক গুন। এক মাসের ব্যবধানে গরু, ছাগল, দেশি মুরগি, সোনালী মুরগি, বয়লার মুরগি, পোল্ট্রি মুরগি মাংসের দাম বাড়ানো হয়েছে আদৃশ্য কারসাজিতে।
শুক্রবার ছিলো কলারোয়া বাজারের হাটবার। এদিন সন্ধ্যায় কলারোয়া বাজারের গরু মাংস পট্টি, ছাগল মাংস পট্টি, পোল্ট্রি মুরগি মাংস পট্টি ও মুরগির মাংস বিক্রয় দোকানে গিয়ে হিমশিম খেয়েছেন ক্রেতারা। মাংস কিনতে গিয়ে যেনো মাথা ঘুরে পড়েছেন তারা। এমনটাই জানালেন কয়েকজন ক্রেতা। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকলেও কয়েকটি দোকানপাট ছিলো খোলা।
এই দু’দিন বাজার ঘুরে জানা গেছে- কেজিপ্রতি কাটা পোল্ট্রি মুরগি মাংসের দাম ৩২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, যেটা একমাস আগে ছিলো ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। কেজিপ্রতি আস্তো পোল্ট্রি মুরগি মাংসের দাম ২৫০ টাকা, যেটা গত একমাস আগেও ছিলো ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। কেজিপ্রতি কাটা বয়লার মুরগি মাংসের দাম ৫৮০ টাকা, যেটা একমাস আগেও ছিলো ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। কেজিপ্রতি আস্তো বয়লার মুরগি মাংসের দাম ৪৬০ টাকা, যেটা একমাস আগেও ছিলো ২৫০ টাকা থেকে ২৭০টাকা। দেশি মুরগি কেজিপ্রতি এখন ৫০০ টাকার উপরে, কিছুদিন আগেও ছিলো ৪০০টাকার নিচে। কেজিপ্রতি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা ৪০০ টাকা পর্যন্ত, যেটা ছিলো ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
একই অবস্থা গরু মাংসের দোকানগুলোতেও। প্রতি মাসে দফায় দফায় বাড়ছে গরু মাংসের দাম। রমজানের আগ থেকে শুরু হয়েছে গরু মাংসের দাম বাড়ানো প্রতিযোগিতা। এখন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা, যেটা গত কয়েক মাসে ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০, ৫৫০, ৫৮০, ৬০০ টাকা ছিলো।
মুরগি-গরুর চেয়ে তুলনামূলক ছাগলের মাংসের দাম কিছুটা কম বেড়েছে। এখন কেজিপ্রতি ছাগলের মাংস বিক্রি করা হচ্ছে ১০০০ থেকে ১০৫০ টাকা দরে। যেটা গত কয়েক মাসে ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত ছিলো।
বাপ্পি, রনি, আদিত্যসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান- ‘এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি এতো টাকা দাম বাড়ে কিভাবে বুঝলাম না। গত কয়েকমাসে খাদ্য, পরিবহণ বা অন্যান্য খরচ তো একই। তবে কেন রমজান মাসের আগ থেকেই এখন পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে?’
তারা আরো বলেন, ‘কেজিপ্রতি মাংসের দাম যদি ১০০ টাকা বাড়ালে প্রশাসনের চাপে ও তদারকিতে সাময়িকের জন্য কমানো হচ্ছে ২০ টাকা। অর্থাৎ ১০০ টাকা বাড়িয়ে কমানো দেখানো হচ্ছে ২০টাকার মতো। এজন্য নিয়মিত বাজার তদারকি আর ভ্রাম্যমান আদালত বসানো জরুরী।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুলী বিশ্বাস জানান, ‘ইতোমধ্যে আমি ও এসিল্যান্ড নিয়মিত বাজার তদারকি ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছি। বাজার কমিটির সাথে কথা হয়েছে। অচিরেই মাংসের বাজারেও নজরদারি করা হবে ও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আসলে আমাদের নৈতিকতা জরুরী। বিবেক দিয়ে বাজার পরিচালনা হলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই উপকৃত হয়।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন