সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরকারি রাস্তার পাশের গাছ কেটে বিক্রি!
সাতক্ষীরার কলারোয়ার জয়নগরে সরকারি রাস্তার পাশের গাছ কেটে বিক্রিয় করে দিলেন জমির মালিক। তার দাবি-গাছগুলো তাদের লাগানো। তবে স্থানীয় ভূমি অফিস বলছে গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছিলো।
এসব সরকারি রাস্তার গাছ বিক্রি করে টাকা হজমও হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, ধানদিয়া মিশনের পার্শ্ববর্তী হায়দার মাস্টারের বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে ছিলো একটি মেহগনি গাছ যার আনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার টাকার মতো। কৃপারামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম মাস্টার তার জমির পাশে থাকা সেই গাছটি তিনি ইতিমধ্যে কেটে নিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, ধানদিয়া হাইস্কুলে যেতে হান্নান খাঁর পানের বরজের পার্শ্ববর্তী রাস্তার পাশে তার আরো এক ফালি জমি রয়েছে। সেখানকার জমির পাশে থাকা আরো একটি রোড শিশু গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই গাছটির আনুমানিক মূল্য ২০ হাজার টাকার মতো।
স্থানীয় অনেকে জানান, গাছ দু’টি সরকারি রাস্তার গাছ। যে দুটি ইতোমধ্যেই বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে গাছ দু’টি কাটার সময় সরকারি ভূমি অফিসের নায়েবকে জানানো হয়েছিলো। তিনি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ দু’টি কাটা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সপ্তাহ খানেক পরেই গাছ দু’টি বিক্রির করে দিয়েছেন জমির মালিক।
জমির মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তার ধারে নিজের জমিতে লাগানো একটা শিশু গাছ কেটে বিক্রি করেছি৷ এটা সরকারি গাছ না। নায়েব বা কেহ কখনও গাছ কাটতে বাঁধা বা নিষেধ করেননি।
জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান বিশাখা তপন সাহা বলেন, এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে সরকারি গাছ কাটা হয়েছে কিনা সরেজমিনে স্থানীয় নায়েব কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ভূমি অফিসের নায়েব আব্দুল আজিজ জানান, গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু নিষেধ সত্ত্বেও কেন গাছ কাটা হয়েছে সেটা জানেন না।
এ বিষয়ে তিনি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন