সাতক্ষীরার কলারোয়ায় হাতে তৈরী ‘হস্তশিল্প’ দেখতে আকস্মিক সফরে জার্মান রাষ্ট্রদূত
হাতে তৈরী হস্তশিল্প জার্মানে রপ্তানির ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে আকস্মিক ও ঝটিকা সফরে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ২নং জালালাবাদ ইউনিয়নের জালালাবাদ গ্রামের ঋষিপাড়ায় হস্তশিল্প দেখতে এলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ। কথা বললেন, খোঁজখবর নিলেন গ্রাম পর্যায়ের প্রান্তিক হস্তশিল্পীদের।
জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ হস্তশিল্প দেখতে এসে এখানকার হস্তশিল্পের সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপারে সার্বিক খোঁজখবর নেন। দ্বোভাষীর মাধ্যমে তিঁনি কথা বলেন হস্তশিল্পী তৈরীর প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের সাথে।
হস্তশিল্প গুলো কোন কোন দেশে রপ্তানী হয়, এগুলো তৈরী করতে কি কি কাঁচামাল লাগে সেগুলোর ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি হস্তশিল্প তৈরির কারিগরদের আর্থিক অবস্থারও খোঁজখবর নেন রাষ্ট্রদূত।
জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ বলেন, ‘বহির্বিশ্বে ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার আস্তে আস্তে কমানোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য প্রাকৃতিক ব্যাগ, আসবাবপত্রের প্রয়োজন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।’
হাতে তৈরী এসকল নিত্যপ্রয়োজনীয় সেট জার্মানে রপ্তানি করার ব্যাপারে বিশেষভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে তিঁনি জানান।
পরে তিঁনি বিষ্ণু নামে স্থানীয় এক অসহায় ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ৫হাজার টাকা সহযোগিতা করেন।
কলারোয়ার উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নসহ অন্যান্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে খড় ও সোনালী আশ পাঁট দিয়ে হাতের তৈরি ফিডব্যাক, সবজি ব্যাগ, বালতি, গামলা, কূলা, পাঁটের তৈরী হাত ব্যাগ, বস্তা ইত্যাদি তৈরী করা হয়। এসকল হস্তশিল্প ঋশিল্পী সংস্থা কিনে নিয়ে ইতালি, ফ্রান্স, আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি করে থাকে।
জার্মান রাষ্ট্রদূতের সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন জার্মান দূতাবাসের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোটকল অফিসার হাসানুর রহমান, এডভাইজার ল মিটলেফ, জালালাবাদ ইউপি সদস্য মসিউর রহমান, এসআই রাজিব (ডিএসবি), এসআই সোহেল রানা, এসআই স্বপনসহ অন্যান্যরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন