সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় জিডি এন্ট্রি করতে সময় লাগল তিন ঘন্টা!
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। একটি জিডি এন্ট্রি করাতে সময় লাগল তিন ঘন্টা। আর এ অভিযোগ সাতক্ষীরার কলারোয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
ভূক্তভোগী কলারোয়া থানার মানিকনগর গ্রামের আব্দুর রহমান জানান, কলারোয়া থানার জয়নগর ইউনিয়নের মানকিনগর স্কুল মোড়ে তার দোকান আছে। বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে ওই গ্রামের মৃত নূর মোহম্মদ গাজির ছেলে আব্দুল লতিফ অহেতুক কোন কারন ছাড়াই তাকে প্রকাশ্যে অশ্রাব্য ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। সে সময় তিনি দোকানে বসা ছিলেন। দোকান থেকে বের হলে তাঁকে মারধোর করবে বলে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায় উক্ত আব্দুল লতিফ আব্দুর রহমানকে জীবন নাশসহ বিভিন্ন প্রকার ক্ষয় ক্ষতি করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। তাতে আব্দুর রহমান চরম নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছে। এবিষয় তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ১:৫০ টায় কলারোয়া থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করাতে যান।
ওই ভুক্তভোগী আরও জানান, থানার ডিউটি অফিসারের রুমে গিয়ে ডিউটি অফিসারকে না পেয়ে উপস্থিত সেন্ট্রির সাথে কথা বলে তিনি জানতে পারেন ডিউিটি অফিসার এসআই আবু সাঈদ। তিনি বাইরে আছেন। সেন্ট্রি বলেন গোল চত্বরে বসেন। স্যার একটু পরে আসবেন। বেলা সোয়া চারটার দিকে ডিউিটি অফিসারের দায়িত্বে থাকা ওই এসআই অফিসে আসলে ভুক্তভোগী জিডি খানা এসআই আবু সাঈদের কাছে দেন। জিডি খানা পড়ে তিতি ভুক্তভোগীকে বলেন অপেক্ষা করতে। একপর্যায় বিকাল ৪:৪৫ ট পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ভুক্তভোগী জিডি এন্ট্রি করাতে পারেননি। নিরুপায় হয়ে তিনি কলারোয়া থানার ওসি মীর খায়রুল কবিরকে বিষয়টি বিকাল ৪:৪৯ মিনিটে মুঠোফোনে জানালে ওসি’র নির্দেশে ভুক্তভোগী বিকাল ৫টায় জিডিটি এন্ট্রি করাতে পারেন। যার নং-৫২৮ তাং-১১/৩/২১।
এবিষয় ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে থাকা এসআই আবু সাঈদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে দুপুরের খাবারের জন্য হয়ত: কিছু সময় দেরি হতে পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন