সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ব্যতিক্রমী আয়োজন
কালীগঞ্জে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নবযাত্রা প্রকল্পের আয়োজনে এক ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কালিগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গন ও ১২টি ইউনিয়নে, নবযাত্রা প্রকল্প, ওয়ার্ল্ড ভিশনের সহযোগিতায় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে ২৩ এপ্রিল হতে ২৯ এপ্রিল ৭ দিন ব্যাপি পুষ্টি সপ্তাহ-২০২১ পালনের ধারাবাহিকতায় ”খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবুন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নবযাত্রা প্রকল্প মা শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্টির কাছে সঠিক পুষ্টি বার্তা পৌছানো এবং পরিবার ভিত্তিক নিয়মিত অনুশীলন নিশ্চিত করনে ব্যতিক্রমি উদ্যেগ গ্রহণের অভিপ্রায় নিয়ে ভ্রাম্যমান ভ্যানে পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী ও স্বাস্থ্য কীট প্রদর্শন করা হয়েছে।
যার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্টির মধ্যে বার্তা পৌছে গেছে শরীরের জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহন যেমন অপরিহার্য, তেমনি পরিবার ভিত্তিক শিশু ও পরিবারের সদস্যদের সঠিক ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যাও নিশ্চিত করনের জন্য সঠিক নিয়ম মেনে হাত ধোয়ার অনুশীলন, নিয়মিত শিশুর ওজন ও মূয়াক পরিমাপ, দলীয় এবং এককভাবে কাউন্সিলিং সহ নবযাত্রা প্রকল্পের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে সংম্পৃক্ত মায়েরা ৩৩,০০০০ হাজার টাকা গ্রহণ সহ শিশু ও পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি নিশ্চিত নিয়মিত করছেন। তাইতো মায়েদের মেধাকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কালিগঞ্জের ১২ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে গ্রাম উন্নয়ন কমিটির, কমিউনিটি দল, সিএইচসিপি, এমএইচভি, সিটিজেন ভয়েস এন্ড এ্যাকশন সদস্য, এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রতিনিধি এএসএস অফিসার এবং ফ্যাসিলিটেটরের উপস্থিতিতে মায়েরা কুইজ প্রতিযোগী হিসেবে অংগ্রহণ করে পুষ্টি বিষয়ক প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে উর্ত্তীনদের পুরুস্কার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া পুষ্টি মেলার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবার্তা প্রচার করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমান স্ট্যল পরিদর্শন করেন ও বলেন-”নবযাত্রা প্রকল্প সরকারের পাশাপাশি খুবই সুপরিকল্পিত ভাবে পুষ্টি সপ্তাহ-২০২১ উদযাপনের জন্য প্রতিটি পুষ্টিকর পন্য যার মধ্যে শক্তিদায়ক,পুষ্টিদায়ক,ক্ষয়পূরন,বৃদ্ধিদায়ক ও আমিষ জাতীয় খাবার সহ স্বাস্থ্য কীট স্ট্যলে এবং ভ্যানে প্রদর্শন করেছে যা আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টির পুষ্টি উন্নয়নে গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে”। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভ্যান ভ্রমনকালীন সময় নারী সদস্য জেসমিন বেগম বলেন- ”ভ্যানে যে সকল খাদ্য সামগ্রী আজ দেখলাম যার বেশির ভাগ খাদ্য সামগ্রী হাতের কাছেই খুব অল্প মূল্যে পাই,তবে এই সকল খাদ্যের মধ্যে যে এতো গুনাগুন আছে সত্যিই জানতাম না ,আমি অন্ধকারেই ছিলাম। আজ খাদ্য সামগ্রী পুষ্টি গুনাগুন বিষয় যা জেনেছি,আমি আমার শিশু ও পরিবারের সদস্যদের জন্য নিশ্চিত করবো এবং আমার বাড়ির আশেপাশে প্রত্যেকেটি পরিবারের সদস্যদের নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো”। উল্লেখ্য যে,নবযাত্রা আমেরিকান সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এর ব্যুরো অব হিউম্যানিটারিয়ান এসিস্ট্যান্স খাদ্য নিরাপত্তা উন্নয়ন কার্যক্রম সাত বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প; যার প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের নারী ও পুরুষের সমতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা,পুষ্টি ও দুর্যোগ সহনশীলতার উন্নতি সাধন। এই লক্ষ্য অর্জনে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং সেই সঙ্গে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল মা ও শিশুর স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি,নিরাপদ পানি পয়ঃনিস্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি চর্চা,কৃষি ও বিকল্প জীবিকায়ন, দুর্যোগ প্রশমন,সুশাসন ও সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং নারী-পুরুষ সমতা বিষয়ক কার্যক্রম সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করছে। এখানে উল্লেখ্য যে,নবযাত্রা প্রকল্পটি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রাণালয়ের যৌথ অংশীদারিত্বে ৮৫৬,১১৬ জন প্রত্যক্ষ উপকারভোগীকে উদ্দেশ্য করে খুলনা জেলার দাকোপ ও কয়রা উপজেলা ও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন