সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে পশুর হাট

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ১৫ জুলাই থেকে লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। তবে লকডাউন শিথিল করলেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট পরিচালনা করতে হবে। এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি জরুরি সরকারি নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকতে হবে অর্থাৎ প্রবেশপথ এবং বহির্গমন পৃথক করতে হবে। পাশাপাশি হাটে আসা সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেন তা নিশ্চিত করতে হবে।

ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র এবং হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি এবং সাবান রাখার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিলের এই আদেশ কার্যকর থাকবে।

তবে দুঃখের বিষয় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের সদর কুশুলিয়ায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বসছে পশুর হাট।

সরেজমিনে বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল ৮ টার দিকে ওই হাটে গেলে দেখা যায়, মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মুখে মাস্ক পরার কোন বালাই নেই। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে হাজার হাজার মানুষের সমাগমে নির্বিঘ্নে চলছে কুশুলিয়ার এ পশুর হাট।

এছাড়া সেখানে হাটবার হিসেবে বিভিন্ন পণ্যের বাজারেও ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ করা গেছে। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।

কুশুলিয়া পশু হাটের ইজারাদার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মোফাখখারুল ইসলাম নিলু হাটটি ইজারা নিয়েছেন। তিনি দেশের বাহিরে থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে ইজারাদারের ভাই কাজী মোজাহিদুল ইসলাম তরুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন (যার অডিও রেকর্ড রয়েছে এ প্রতিবেদকের কাছে)।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে আগামিকাল থেকে লকডাউন শিথিল করছে।

উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বলার সময় অনেকে অনেক কিছুই বলে তবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন আমি ইউএনও সাহেবকে সকালে বলেছি আবারও বলে দিচ্ছি।