সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন ভাতা ভোগীদের টাকা না পাওয়ায় সমাজসেবা অফিস ঘেরাও
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে উপজেলাব্যাপী প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবাসহ বিভিন্ন ভাতা ভোগীরা ভাতার টাকা না পেয়ে ও হ্যাকারদের কবল থেকে রক্ষা পেতে দাবি নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিস ঘেরাও করে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানানোর ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের শতশত ভুক্তভোগী বিভিন্ন ভাতা ভোগীরা বেলা ১০টা হতে বিকাল পর্যন্ত উপজেলা সমাজসেবা অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
খবর জানতে পেরে ওই সময় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল সমাজসেবা অফিস চত্বরে গেলে ভুক্তভোগী ভাতা ভোগীরা তাদের নানা অভিযোগ তুলে ধরে বর্ণনা দেন।
এ সময় নলতা ইউনিয়নের সাহারা গ্রামের বয়স্ক ভাতা কার্ডধারী জামাত আলি, ঝায়া মারি গ্রামের বয়স্ক ভাতা কার্ডধারী নজির আলী গাজী, নলতা শরীফ গ্রামের সদর উদ্দিন, পাইকারা গ্রামের প্রতিবন্ধী কার্ড ধারি রহিমা খাতুন, ধল বাড়িয়া ইউনিয়নের ধল বাড়িয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী কার্ড ধারী সাইফুল ইসলাম, সেকেন্দার নগর গ্রামের বয়স্ক ভাতা কার্ড ধারী মোহাম্মদ আলী, রত্নেশ্বর পুর গ্রামের সুবাহান মোড়ল, ধলবাড়িয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী কার্ড ধারি আনোয়ারা বেগম, রতনপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী কার্ড ধারী নাহিদা পারভীন, উখসা গোবিন্দপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী কার্ড ধারী জানু সহ শতশত ভাতা ভগিরা সাংবাদিকদের ঘিরে ধরে তাদের ভাতার টাকা না পাওয়া ভোগান্তি হ্যাকার এর বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।
ওই সময় তারা বলেন, অধিকাংশ ভাতা ভোগীদের টাকা হ্যাকাররা তুলে নিয়ে গেছে। আরো জানান ২/৩ মাস ধরে তারা কোন ভাতার টাকা পান না। অনলাইনে আবেদন করে তাদের ভোগান্তি আরো বেশি হয়েছে বলে জানান। এছাড়াও না পাওয়ার বিষয়ে সমাজসেবা অফিসের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সুপারভাইজারদের এবং অফিস স্টাফদের অসহযোগিতার কথা জানান। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা লিখিতভাবে অভিযোগ করেও কোন ফল পাইনি। সমস্যার কথা বললে তারা থানায় যেতে বলেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বেলা ১১ টার সময় সমাজসেবা কর্মকর্তাকে অফিসে না পাওয়া গেলেও বেলা ২টার সময় সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নিকট ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান উপজেলাতে মোট ২৯০৯২ জন ভাতা ভোগী ভাতা পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা ভোগী হল ১৬,২৮৫ জন প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগী ৫০৯৫ বিধবা ভাতা ভোগী ৭৩৯০ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর দলিত শ্রেণীর ভাতা ভোগী ১০২ প্রতিবন্ধী শিক্ষা ভাতা ভোগী ৪০ এবং প্রতিবন্ধী অনগ্রসর শিক্ষা বৃত্তি ১৮০ জন ভাতা পেয়ে থাকেন।
এখনো পর্যন্ত সবার টাকা তাদের নগদ নাম্বারে ঢোকে নাই। পর্যায়ক্রমে দেরিতে ঢোকায় নানা ভোগান্তি ও সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়াও অনলাইনে সার্ভারের সমস্যা বেশি। হ্যাকারের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি এবং বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী উপস্থিত সাংবাদিক এবং প্রতিবাদকারী ভাতা ভোগীদের জানান বিষয়টি নিয়ে তিনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার নিকট আলোচনা করেছেন এবং সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন