সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংঘের নামে জমি দখলের অভিযোগ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংঘ’ নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে মালিকানা জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাদারতলা, রঘুনাথ পুর সড়কের পাশে ওই সাইনবোর্ডটি টাঙিয়ে অন্যর জমি দখলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে একদল কুচক্রী মহল।
এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন জমির মালিকপক্ষ। জমি মাপ জরিপ করে মীমাংসার জন্য চেষ্টা করলেও ব্যার্থ হন কালিগঞ্জ থানা পুলিশ।কোন প্রকার মিমাংসা ছাড়ায় বঙ্গবন্ধুর নাম করে ওই জায়গা দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। রবিবার (২৯ আগস্ট) জমি মাপ জরিপের নামে দখলের চেষ্টা করে ক্লাবের সভাপতি ও তার সহযোগীরা বলে জানান স্থানীয়রা।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জনাযায়, রঘুনাথপুর মৌজার ১৭৭৯ নম্বর দাগে মাদারতলাএলাকায় জমিটির অবস্থান। মানপুর গ্রামের মৃত আছেন আলীর ছেলে আওয়াল হোসেন বংশপরম্পরায় ওই জমি ভোগদখল করছেন। প্রায় ৩ বছর আগে রঘুনাথপুর গ্রামের কাওসার হোসেন নামের এক ব্যক্তি ওই জমি তার বলে দাবি করেন। গত ১ বছর আগে কওসার আওয়ালের পৈতৃক সম্পত্তি ক্লাবের লোকজনকে দখল করে নিতে বলে।
এ কারণে স্থানীয় কয়েকজন যুবক মিলে ক্লাবের ঘর তুলে জমিটি দখলে করে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই জমিতে বাদীর বসত ঘর রয়েছে। সামনে দখল করে নিয়ে ক্লাব ঘর বানিয়ে তার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। প্রায় ১ বছর আগে জমিতে পিলার দিয়ে ঘর বাঁধার চেষ্টা করে ক্লাবের সভাপতি আলতাফ হোসেন। বাঁধা দিলে তারা ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংঘ’ নামে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। আওয়াল গরীব ও অসহায় হওয়ায় ক্লাবের নামে তার পৈতৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে তারা।
জমি দখল কারি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংঘ’র সভাপতি আলতাফ হোসেন জমির কোন প্রকার কাগজ ছাড়া দখলের বিষয় স্বীকার করে বলেন, সরকারি খাসজমি দখল করে নিয়ে ক্লাবটি আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছি যাতে করে মানুষ বঙ্গবন্ধুর জীবনী সর্ম্পকে জানতে পারে।
জয়পত্রকাঠি ইউনিয়ন সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, আমার জানামতে ওই জমি মালিকানাধীন। তবে ওই জমি যদি সরকারি খাসজমি হয় তাহলে বসত ঘর অথবা ক্লাব নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই ইজারা নিতে হবে। তানাহলে দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
কালিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যর জমি অথবা সরকারি খাসজমি দখল করে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা রাষ্ট্রীয় ভাবে অবৈধ। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার ও সরকারের দূ্র্নাম করার জন্য একদল কুচক্রী মহল ভুঁইফোড় সংগঠন তৈরি করে এসব ঘৃনীত কাজের সাথে যুক্ত হয়।
কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আশিষ কুমার হালদার জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে থানায় কোন প্রকার বিচার করার সুযোগ নেই। আওয়াল হোসেনের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জমিজমা মেপে দু’পক্ষকে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা জন্য বলা হয়েছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন