সাতক্ষীরার গ্রামীন উন্নয়নে ৩৬৮৮ কোটি টাকার প্রকল্প: স্থানীয় সরকার সচিব

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মকছুদ জাহেদী বলেছেন, ‘সাতক্ষীরা জেলার গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৩৬৮৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এতো বড় প্রকল্প বাংলাদেশে খুব কম আছে। রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট ইত্যাদি উন্নয়ন করা হবে। সাধারণ মানুষকে সাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে।’
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় দক্ষতা উন্নয়ন (গাভী পালন) নিবিড় প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার (১৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় কলারোয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমবায় কার্যালয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যে কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামকে আদর্শ গ্রামের কার্যক্রমের ঘোষণা করা হয়েছে। তেমনি সাতক্ষীরা জেলাকেও আদর্শ জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
সচিব রেজাউল মকছুদ জাহেদী বলেন, ‘অন্যের ক্ষতি করলে নিজের ক্ষতি হয়। বিগত বছরের দিকে তাকালে সেটা বুঝতে পারবেন। কাউকে ক্ষতি করা উচিত নয়।’
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব (যুগ্ম সচিব) আবুল হাসান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব আকবর হোসেন, সমবায় অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম নিবন্ধক) তোফায়েল আহম্মদ, স্থানীয় সরকার বিভাগ সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহুরুল ইসলাম, জেলা সমবায় অফিসার এফএম সেলিম আক্তার।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমবায় অফিসার অনিমেষ কুমার দাস, উপজেলা প্রকৌশলী ইমরান আহমেদ, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএমএ সোহেল, সহকারী প্রোগ্রামার মোতাহার হোসেন, উপকারভোগী কুশোডাঙ্গা দুগ্ধ সমিতির সম্রাট হোসেনসহ নারী-পুরুষ প্রশিক্ষণার্থী, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্যরা।
উপজেলা সমবায় অফিসার অনিমেষ কুমার দাস জানান, উপজেলার কুশোডাঙ্গা ও পারিকুপি গ্রামের দুটি দুগ্ধ সমিতির অধীনে ৫০জন করে মোট ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রথম পর্যায়ে গরু ক্রয়ের জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লক্ষ টাকা বিনা সুদে ঋণ প্রদান করা হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন