সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার ভাই ইউপি সদস্য কারাগারে
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আল ফেরদৌস আলফা ও তার সহোদর পারুলিয়া ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম কারাগারে গেছেন। স্বর্ণ চোরাচালানের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত রবিবার (২৩ জুন) তাদের দুইভাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তারা এখন খুলনা কারাগারে রয়েছেন।
খুলনার লবণচরা থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই প্রদীপ বৈদ্যসহ একাধিক পুলিশ কর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২০ এপ্রিল দুপুরে মাসুম বিল্লাহ নামের একজনকে ১২ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক করে পুলিশ। ধৃত আসামির স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, এই স্বর্ণের মূল মালিক আল ফেরদৌস আলফা ও তার সহোদর আব্দুল আলীম। এরা সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের আবুল কাশেম সরদারের ছেলে। এছাড়া, আলফার শ্যালক আসাদুজ্জামান ওরফে মিলনও এই স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত। মিলন একই গ্রামের দাউদ আলী গাজীর ছেলে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ধৃত মাসুমসহ চারজনের নামে থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা হয়। মামলা নম্বর ১২। তারিখ -২০-০৪-২০২৪। এরপর দুই নম্বর আসামি আলফা ও তিন নম্বর আসামি আব্দুল আলীম মহামান্য হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জামিন নেন। মহামান্য হাইকোর্ট তাদেরকে আট সপ্তাহের মধ্যে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশ অনুযায়ী আলফা ও আলিম রবিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, পুলিশ সিডিএমএস পর্যালোচনা করে দেখেছেন, খুলনায় স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা ছাড়াও আল ফেরদৌস আলফার নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা নম্বর ৫৮। তারিখ-৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ও মাদকদ্রব্যের মামলা নম্বর ৮৬। তারিখ-২৬ নভেম্বর ২০২২। আর আলফার ভাই আব্দুল আলীমের নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় বিডিআর সদস্য হত্যা মামলাসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নম্বর ৫৮। তারিখ-৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ও মামলা নম্বর ৪৫। তারিখ-২০ নভেম্বর ২০০৯।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আল ফেরদৌস আলফা হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আর তার ভাই আব্দুল আলীম একই উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ড সদস্য। আলফা ও আলিমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। একাধিকবার তারা জেলও খেটেছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন