সাতক্ষীরায় ‘এ যেন মৌমাছিদের বাড়ি’

‘এ যেন মৌমাছিদের বাড়ি’। ৭ বছর ধরে একই ঘরে বাসা বাঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি। ফলে গৃহপালিত মৌমাছি বললেও হয়তো ভুল হবে না।

সাতক্ষীরার দেবহাটার কোড়া গ্রামের আবু সাঈদের বাড়ি যেন মৌমাছির অভয়ারণ্য। এমনটি চলছে কয়েক বছর ধরে। বছরের ৭ থেকে ৮ মাস ধরে মধু সঞ্চয় করে মৌমাছির দল চলে যায়। আবার কিছুদিন পরে ফিরে আসে।
ওই বাড়িতে এ বছর চাক রয়েছে ২৬টি। এলাকাবাসীর বেশ কৌতূহল এ বাড়িকে ঘিরে।

বাড়ির বাসিন্দারা প্রথমে ভয় পেলেও এখন যেন স্বজন মনে করেন মৌমাছিদের। বহিরাগতদের উৎপাত বা অন্য পশুপাখির আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সকলেরই রয়েছে নজরদারি। পতঙ্গগুলোও যেন বোঝে এ অভিভাবকত্ব। তাইতো কাছে গেলেও বিরক্ত কিংবা হুল ফোটায় না।

কয়েক বছরে এ বাড়ির পরিচিতি বেড়েছে আশপাশে। মৌমাছির বাড়ি দেখতে অনেকে আসেন, খুব কাছ থেকে এ দৃশ্য দেখে অভিভূত হন তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক নূরুল ইসলাম জানান, ‘মৌমাছিগুলো মূলত ফুলের মৌসুমে লোকালয়ে আসে পার্শ্ববর্তী সুন্দরবন থেকে। উপদ্রবহীন জায়গা পাওয়ায় একই ঠিকানায় বারবার আসে এগুলো।’

মৌমাছির চাক দেখে শুধু স্বস্তি আর বিস্ময়ই নয়, মধু বেঁচে বাড়িওয়ালার লাভের অঙ্কটাও বেশ। মধু বিক্রি করে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় হয় তাদের- এমনটাই জানালেন বাড়ির মালিক।