সাতক্ষীরায় ফসলি জমিতে পুকুর কেটে মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়, ট্রাক্টরে বিপর্যস্থ রাস্তা ও মানুষ
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের রতনপুরে ফসলি মাঠে চলছে অবাধে পুকুর খনন। খননকৃত সেই মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায় আর মাটি বহনের কাজে ব্যবহৃত দানবাকৃত ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্যে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চলাচল করা রাস্তা। বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রতনপুর মাঠে প্রায় ১০/১৫ বিঘার উপরে ফসলের জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করা হচ্ছে। একই মাঠের নাটার বিলে অপর দুইটি ঘের কাটা হচ্ছে ভেকু মেশিন দিয়ে। খননকৃত পুকুর ও ঘেরের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী ইটভাটায়।
কয়েকজন কৃষক জানান, ‘ফসলি জমির উপর দেখা যায়- একপাশে ধানের চারা লাগানো আছে। অন্যপাশে কৃষকেরা পেঁয়াজের চারা লাগাচ্ছেন। এর পাশেই চাষ করা হচ্ছে সারি সারি মুসুরির আবাদ। আর একপাশে দেখা যায় সরিষা লাগানো আছে। কিন্তু দানব ভেকু মেশিনের কাছে এসব ফসল যেন অসহায়, সব ফসল চলে যাচ্ছে ভেকু মেশিনের কোপে পুকুরের গর্ভে। সব মিলিয়ে তিন ফসলি জমি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে পুকুর গর্ভে।’
কিছুদিন আগেও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু এই অভিযান পর্যাপ্ত নয় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা আরো বলেন, ‘পুকুর খননের ফলে একদিকে হারাচ্ছে ফসলি জমি, অন্যদিকে পুকুর খননের মাটি ট্রাক্টর-ট্রাক দিয়ে বহন করে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। এতে রাস্তা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর একটু পানি পড়লেই বা বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপরে পড়ে থাকা মাটিতে কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এতে প্রায় সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। সাধারণ মানুষও পড়েন ভোগান্তিতে।’
সব মিলিয়ে পুকুর খনন করে লাভবান হচ্ছেন পুকুর খননকারীরা, মাটি ব্যবসায়ী ও ইটভাটার মালিকরা। অন্যদিকে ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে, আর এতে নষ্ট হচ্ছে সরকারি কোটি কোটি টাকার রাস্তা।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। খুব দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন