সাতক্ষীরায় মামলা করে সংসার ও সন্তানের স্বীকৃতি পেলেন নারী

আদালতে মামলা করায় ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে স্বীকৃতি এবং ভুক্তভোগী নারীকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নিলেন রবিউল ইসলাম ওরফে নয়ন নামের এক ব্যক্তি।

সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের আদালতে বৃহস্পতিবার তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

এরপর আসামি নয়ন জামিন পেয়ে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্লাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন।

রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন এক নারী (২২)।
ওই মামলায় আসামি করা হয় সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মোকছেদ কবিরাজের ছেলে রবিউল ইসলাম নয়নকে।

মামলার এক পর্যায়ে পুলিশ নয়নকে গত ২২ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসামি নয়নের জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য্য ছিল। শুনানির সময় বাদীপক্ষ থেকে বলা হয়, ভুক্তভোগী নারীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে, সন্তানের স্বীকৃতি এবং নগদ এক লাখ টাকা দেওয়া হলে আসামির জামিনে তাদের কোনো আপত্তি নেই। এক পর্যায়ে আসামি নয়ন সকল শর্ত মেনে ওই নারীকে বিয়ে করেন।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান আসামি নয়নকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন।
পরবর্তী সময়ে আসামি নয়ন জামিনে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্লাহকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যান।