সাতক্ষীরায় স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৮ তম জন্মবার্ষিকী পালিত
“বিবাদ নয়, সহায়তা; বিনাশ নয়, পরস্পরের ভাবগ্রহণ; মতবিরোধ নয়, সমম্বয় ও শান্তি” এই অমরবাণীকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় পালিত হয়েছে যুবনায়ক স্বামী বিবেকানন্দ’র ১৫৮ তম জন্মবার্ষিকী।
এ উপলক্ষে খাদ্য ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আলোচকরা বলেছেন বিবেকানন্দ’র আদর্শে আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। তার পথ আলোকিত পথ হিসাবে আমাদের পাথয় হয়ে থাকবে। তিনি ধর্মে কোনো বিভেদ দেখননি। তিনি মানুষ মানুষে ভেদাভেদ দেখেননি। যুগাচার্য স্বামী বিবেকানন্দ মানুষের মধ্যে যে দূরত্ব রয়েছে সেটির বিকাশ সাধন করতে বলেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি নাট মন্দির মিলনায়তনে বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ নির্মল কুমার দাস এর সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, সারদাসংঘ সভাপতি কল্যাণী রায়, স্কিন্ধা নাথ, শীলা রাণী অধিকারী, সহকারী অধ্যাপক প্রণবকান্তি বাড়, বিকাশ দাস প্রমুখ।
এর আগে রামকৃষ্ণ মন্দির ও ধ্যানঘরে বিশেষ প্রার্থনা সভা ও মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষনা করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বামী বিবেকানন্দের উপর সঙ্গীত পরিবেশন করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তৃপ্তিমোহন মল্লিক ও দীপা সরকার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ জেলা শাখার সহ-সভাপতি গৌরাঙ্গ সরকার, কোষাধ্যক্ষ রায় দুলাল চন্দ্র, অতিশ দীপঙ্কর বসু, সুজয় দাস, পার্থ সরকার, দীপ্ত, দিপঙ্কর প্রমুখ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, এক সময়ের তজাদীপ্তাসীম মৃধাসম্পন্ন কর্মদক্ষ নরেন্দ্রনাথ দত্ত শ্রী রামকৃষ্ণের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে মাত্র ২৩ বছর বয়সে ১৮৮৬ সালে সন্যাস ব্রত লাভ করে স্বামী বিবেকানন্দ নাম ধারণ করেন। এর পর মাত্র ১৬ বছরের জীবদ্দশায় তিনি সনাতন ধর্ম প্রচার করেছেন বিশ্বব্যাপী। অনাহারে ও স্বল্পাহারক নিত্যসঙ্গী করে তিনি সারা ভারতবর্ষে পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করেছেন। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে এই ক্ষণজন্মা যুগাচার্য দেহত্যাগ করে রেখে গেছেন অমর বাণী। স্বামী বিবেকানন্দ ব্রম্মদত্যর সন্ধানে গাছের মগডালে চড়েছেন। তিনি বলেছেন ওঠো জাগো, লক্ষ্য না পৌঁছনো পর্যন্ত থেমো না। তিনি ধারন করেছেন ঈশ্বরের প্রেম, দেশ প্রেম ও মানবপ্রেম। তিনি তরুণ যুবকদের শরীরচর্চার ওপর সমধিক গুরত্ব দিয়ে বলেছেন বি অ্যান্ড মক। অর্থাৎ নিজেকে গঠন করো, অন্যকে গঠনে সাহায্য করো। নিজেকে যোগ্য করার বাণী দিয়েছেন তিনি। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, হিন্দু ধর্ম থেকে একজন চলে যাওয়া অর্থ একজন কমে যাওয়া নয়, একজন শত্রু সৃষ্টি হওয়া। তাই ধর্মার রোধ আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন