সাতক্ষীরা টু যশোর মহাসড়কটি রাস্তা থেকে মরণ ফাঁদে রূপ নিচ্ছে

সাতক্ষীরা টু যশোর মহাসড়কের এরিয়ার মধ্যে অবস্থিত শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের সেই বিখ্যাত আম বাজার বেলতলা থেকে শুরু করে বাগাআঁচড়া বাজার পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় রাস্তার নাজেহাল অবস্থা রাস্তাটি যেন এক মরণ ফাঁদে পরিণত হতে চলছে, একটু এদিক সেদিক হলে ঘটতে পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, যার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গাড়িচালক সহ পথচারীদের।

জানাগেছে, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ মিনিবাস, পরিবহন, মালবাহী ট্রাকের পাশাপাশি রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, মটর সাইকেল,বাই সাইকেল, করে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। রাস্তার অনেক জায়গায় পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের, অনেক সময় রিকশা ইজিবাইক উল্টে শিকার হয় দুর্ঘটনার।কোন কারণে সাতক্ষীরা-যশোর এই মহাসড়কটি বন্ধ থাকলে এই রাস্তাটি বিকল্প আর কোন রাস্তা নাই।

অনেক সময় বৃষ্টির কারণে রাস্তার গর্তে পানি জমে থাকে, এ অবস্থায় চলাচলে তাদের বেশির ভাগ সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়, একটু বৃষ্টি হলে হেটে যাওয়ার উপায় ও নেই, একাধিক জায়গায় রয়েছে বড় বড় ফাটল ও গর্ত, বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাজারো মানুষ, ছোট বড় যানবাহন চলাচল করছে এই রাস্তা দিয়ে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না করলে ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।

রাস্তাটি খানাখন্দের কারণে প্রায় ৩ মাস ধরে এই রাস্তা দিয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিদের এই নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই বলে দাবি স্থানীয়দের।

মিনিবাস চালক বাপ্পি জানান, আমি এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই গাড়ি চালায় কিন্তু এই রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে যেমন বিশেষ করে বেলতলা আম বাজার থেকে শুরু করে মুড়ির মিল, বাগাআঁচড়া জিরো পয়েন্ট, ও বাগাআঁচড়া মিনিবাস সমিতি কাউন্টারের সামনে সহ নাভারণ পর্যন্ত রাস্তার বেশ কিছু জায়গায় বড় বড় খানাখন্দে ভরা,যার কারণে আমাদের গাড়ি চালাতে অনেক অসুবিধায় পরতে হয়।

অনেক সময় বিভিন্ন দূর্ঘটনায়র কবলে পড়তে হয় সেই সাথে অনেক সময় আমাদের গাড়ির অনেক যন্ত্রাংশই ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে। আমার অতি দ্রুত এর প্রতিকার চাই।

ভ্যান চালক তারেক জানান, আমি একজন গরিব খেটে খাওয়া মানুষ। আমার একদিন ভ্যান না চালালে সংসার ঠিক মতো চলে না, তাই প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান চালায় কিন্তু রাস্তা অনেক জায়গায় বড় বড় গর্ত ও ভাঙ্গার কারণে আমি ভালোভাবে ভ্যান চালাইতে পারি না এবং রাস্তা ভাঙ্গার কারণে মানুষ ঠিকমতো ভ্যানে উঠতে চায় না,, যদিও বা এক দুই দিন ভাড়া মেরে যে আয় হয় পরেরদিন আবার ভ্যানের পিছনে খরচ করতে হয়।

পথচারী রনি জানান,আমি এই পথ দিয়ে সব সময়ই চলাচল করি, কিন্তু পথের অবস্থা অনেক খারাপ হওয়ার কারণে চলাফেরা করতে ব্যপক সমস্যা হচ্ছে, কিছু দিন আগে এই বেলতলা মুড়ির মিল নামক স্থানে রাস্তা খারাপ হওয়ার জন্য এক পশু ডাক্তারের মৃত্যু হয়। আমি এক পথচারী হিসেবে আমার একটাই দাবি যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি সংস্কার করা হক।

মিনিবাস সমিতির স্টার্টার ওমর আলী জানান, এই সাতক্ষীরা টু যশোর গামী রোড টি বেশ কিছু জায়গায় অনেক বড় বড় খানা গর্ত হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের গাড়ির ড্রাইভাররা আমাদের কাছে অভিযোগ করে যে আমরা কোনরকমই রাস্তা দিয়ে ভালোভাবে গাড়ি চালাতে পারি না প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটে,, মাঝে মাঝে সময় আমরা নিজ অর্থায়নে কয়েকবার এই রাস্তার গর্ত গুলো ইট, বালি দিয়ে সংস্কার করেছি।

যশোর সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, বিষয়টা আমি শুনেছি আমাদের কাজ চলমান আছে পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় কাজ করা হবে।