সাতক্ষীরা মেডিকেলের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

সাতক্ষীরা মেডিকেলের ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. অপরাজিতা আখির আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

রোববার দূপুরে মেডিকেল কলেজের সামনে এ মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইন্টার্ন চিকিৎসক প্রিতম দাস, ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান কবির, সামিয়ান বিন ইমু, সাহারা সামান্তা রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের প্রধান ডা. শংকর কুমার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তার ছেলের স্ত্রী ডা. অপরাজিতা আখি।
তিন কর্মদিবসের মধ্যে ডা. শংকর কুমারকে ইডুকেশন কো-অর্ডিনেটর ও গাইনী বিভাগের প্রধান পদ থেকে অসারণের দাবি করেন বক্তারা।

প্রসঙ্গত,৬ মাস আগে সাতক্ষীরা মেডিকেলের ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. অপরাজিতা আখির সাথে বিয়ে হয় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের প্রধান ডা. শংকর কুমার বিশ্বাসের ছেলে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের
ইউরোলজি বিভাগে এম এস কোর্সে অধ্যায়নরত ডা. রাহুল দেব বিশ্বাসের। অপরাজিতা আখির বাবার বাড়ি যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায়। বিয়ের পর থেকে ‘শুকনো মেয়ে’ সহ বিভিন্ন অপমানসূচক কথা শুনতে হতো আখির।
মাসখানেক আগে তিনি সাতক্ষীরা থেকে নওয়াপাড়ায় চলে যান। গত বুধবার তিনি ডা. রাহুল দেব বিশ্বাসের কাছ থেকে ডিভোর্স লেটার পান।

এসব কারণে শুক্রবার রাতে তিনি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে সাতক্ষীরা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে আখির শশুর অধ্যাপক ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেয়ে আখির মরদেহ নিয়ে সৎকার করি। আখি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। তাছাড়া তার মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় বা অন্য
কোথাও কোন অভিযোগ করা হয়নি।