সাতক্ষীরা-শ্যামনগর মহাসড়কের বেহাল দশা

সাতক্ষীরার আকর্ষণ সড়ক পথে সুন্দরবন। অন্যান্য জেলার মত সাতক্ষীরারও কিছু স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য আছে। যার মধ্যে সুন্দরবন, নলতা শরীফে অবস্থিত খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ (রহ:) এঁর রওজা শরীফ, মোজাফফর গার্ডেন, রূপসী ম্যানগ্রোভ বন, ডিসি ইকো পার্ক, আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার, ভোমরা স্থলবন্দর সহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থান আছে। দর্শনীয় স্থানগুলোতে সারা বছর দেশের ৬৪ জেলা থেকে ভ্রমনপিপাসু মানুষ ভ্রমনে আসে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এ দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করার জন্য একটিমাত্র মহাসড়ক হলো সাতক্ষীরা টু শ্যামনগর।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও উন্নতি হয়নি এই মহাসড়কটির।

এ সড়কটি যেন এখন মরণফাঁদ। সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। পঙ্গুত্ব বরণ করছে শত শত মানুষ, এমনকি বিভিন্ন সময় মৃত্যুর সংবাদও পাওয়া যাচ্ছে।

ভোমরা স্থলবন্দরসহ এই সড়কটি সাতক্ষীরা-দেবহাটা-কালিগঞ্জ-শ্যামনগরের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। অথচ সড়কটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও শুধু মেরামতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।

বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায়, এ সড়কটি ফোর লেনে উন্নীতকরণ করার জন্য কার্যক্রম চলমান আছে। কয়েক দফায় সড়কের দুই পাশের অবৈধ উপস্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা গেছে কিন্তু আজও কোনো আলোর মুখ দেখছে না সাতক্ষীরাবাসী। মহাসড়ক সংস্কারের নামে প্রায় অধিকাংশ জায়গায় ইটের সলিং করে দিচ্ছে সড়ক বিভাগ যা খুবই কষ্টদায়ক।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলা শহরে অবস্থিত স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা নিতেও মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমনকি প্রতিমধ্যে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ প্রশাসনের কাছে ব্যস্ততম মহাসড়কটি যাতে দ্রুত চার লেনে উন্নতির মাধ্যমে সংস্কার হয় তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে সাতক্ষীরার সকল শ্রেনি পেশার মানুষ।