সাবিরা সুলতানার দণ্ড স্থগিতের আদেশ আটকে গেল চেম্বারে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী সাবিরা সুলতানার দুর্নীতির মামলার দণ্ড ও সাজা স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত।
একইসঙ্গে বিষয়টি রোববার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এর ফলে, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানার আইনত আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে শনিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি চেম্বারজজ আদালত এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী।
অন্যদিকে সাবিরা সুলতানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও আমিনুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ সাবিরা সুলতানার দণ্ড ও সাজা স্থগিতের আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে নিম্ন আদালতের দেয়া রায় আপিলে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাবিয়ার দণ্ড ও সাজা স্থগিত করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় অনুসন্ধান শেষে সাবিরা সুলতানার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে এক কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে মামলা করে দুদক।
এ মামলায় যশোরের একটি আদালত গত ১২ জুলাই সাবিরা সুলতানাকে দুটি ধারায় তিন বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
এ রায়ের পর ১৭ জুলাই বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এরপর ওই সাজার বিরুদ্ধে কারাগার থেকেই হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন। আদালত তার আপিল শুনানির জন্য গত ৩০ জুলাই গ্রহণ করেন।
পরে তিনি জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট গত ৬ আগস্ট তাকে জামিন দেন। এরপর দোষী সাব্যস্ত করা (কনভিকশন) ও প্রদেয় দণ্ড (সেন্টেনস) স্থগিত চেয়ে গত ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করেন সাবিরা সুলতানা। এ আবেদনে হাইকোর্ট তার কনভিকশন ও সেন্টেনস স্থগিত করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন