সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে জিম্মি করে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ
সুজন দাস, চাঁদপুর সংবাদদাতা : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাঈনুদ্দিনের বিরুদ্ধে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডারকে জিম্মি করে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ড কাউন্সিল কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধ কমান্ড কাউন্সিলের সদ্য সাবেক কমান্ডার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার। তিনি তাঁর ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার সকালে হাজীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। ডায়েরি নং ১৪১৩। তবে গাজী মাঈনুদ্দিন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাঁর সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তথ্য ও থানার অভিযোগপত্রে লিখিত বক্তব্যে মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাঈনুদ্দিনের বাবা গাজী গিয়াস উদ্দিন রাজাকার ছিলেন বলে কে বা কাহারা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারণা চালায়। উক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য গাজী মাঈনুদ্দিন রোববার রাত ৮টার সময় আমার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ গাউছিয়া হোটেলে যেতে বলেন। আমি তখন হাজীগঞ্জ ষ্টেশন রোডের দক্ষিন মাথায় মেন্দু মিয়ার চায়ের দোকানে বসা ছিলাম।
মজিবুর রহমান আরো বলেন, ওনার (গাজী মাঈনুদ্দিন) ফোন পেয়ে সরল বিশ^াসে আমি সেখানে যাই। সেখানে গাজী ও তাঁর দলের ২০/২৫জন নেতাকর্মী একটি লিখিত কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন। আমি রাজি না হওয়ায় আমার মুঠোফোনটি তাঁরা কেড়ে নেয়। পরে তিনঘন্টা আমাকে জোরপূর্বক আটক রেখে স্বাক্ষর নেয়। তিনঘন্টা পর রাত ১১টার দিকে তাঁরা মুঠোফোন দিয়ে আমাকে রেখে চলে যায়। আমি রাতেই বিষয়টি হাজীগঞ্জ থানায় যেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জাবেদুল ইসলামকে জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ মুন্সি, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার খোরশেদ আলম, দ্বীন মোহাম্মদ, মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহম্মদ, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
তবে গাজী মাঈনুদ্দিন তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওনাকে দিয়ে জোরপূর্বক কিছু করা হয়নি। তাঁকে হোটেলে এনে হাতে পায়ে ধরে অনুনয় বিনয় করে ওনার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। আপনার বিরুদ্ধে থানায় জিডি হয়েছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গাজী মাঈনুদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। সহসায় আমি সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি পরিষ্কার করে জানাব।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাবেদুল ইসলাম থানায় জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জিডিটি তদন্তের জন্য পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মান্নানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আমি যতটুকু খোঁজ নিয়েছি কমান্ডারের সাথে অসৌজন্যমূলক কোন আচরণ করা হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন