সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস আর নেই
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস (৯৩) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
আজ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁর বনানীর বাসভবন থেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতির ছেলে মাহমুদ হাসান বিশ্বাসের বরাত দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এ কথা জানান।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে ওই সংসদ আবদুর রহমান বিশ্বাসকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে।
বরিশাল জেলার শায়েস্তাবাদে ১৯২৬ সালে ১ সেপ্টেম্বর আবদুর রহমান বিশ্বাসের জন্ম। বরিশাল শহরেই তিনি স্কুল ও কলেজজীবন শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ইতিহাসে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। আবদুর রহমান বিশ্বাস ১৯৫০-এর দশকে আইন পেশায় যোগদান করেন। তিনি ১৯৬২ এবং ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের সংসদীয় সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের ২২তম অধিবেশনে যোগদান করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি স্বাধীনতার বিরোধী ছিলেন। তাঁর আনুগত্য ছিল পাকিস্তান সরকারের প্রতি। তিনি ১৯৭৪ এবং ১৯৭৬ সালে দুবার বরিশাল বার সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৭ সালে তিনি বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বরিশাল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯-৮০ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় পাটমন্ত্রী এবং ১৯৮১-৮২ সালে বিচারপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে আবদুর রহমান বিশ্বাস ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ৪ এপ্রিল ১৯৯১ তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৬ সালের ৮ অক্টোবর তাঁর মেয়াদ শেষ হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন