সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা জিল্লুর রহমানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দোয়া মাহফিল, কালো ব্যাজ ধারণসহ নানা আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও তার স্বজনরা।
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) দিনের শুরুতেই মরহুমের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। জিল্লুর রহমানের নিজ বাড়ি আইভি ভবনে আয়োজন করা হয়েছে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের।
১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের বলাকী মোল্লার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন জিল্লুর রহমান। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। সে সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের জিএস ছিলেন। দেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ও ক্রান্তিলগ্নে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। দল-মত নির্বিশেষে জিল্লুর রহমান সবার কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। আর এ জন্যই ভৈরব-কুলিয়ারচর আসন থেকে তিনি ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অহিংস রাজনীতির প্রবাদপুরুষ, ভাষাসৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জিল্লুর রহমান দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান।
২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।
এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার গঠন হলে জিল্লুর রহমান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া স্বাধীনতার পর তিনি তিনবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আইভি রহমান। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দলীয় জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে ২৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন আইভি রহমান। তাদের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডর (বিসিবি) সভাপতি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন