সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলন কারাগারে

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে ৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুরের অতিরিক্ত সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউ আজম এ আদেশ প্রদান করেন। পরে তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে চাঁদপুর কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রামের চকবাজার চট্টশ্বরী রোডের ‘মমতাজ ছায়ানীড়’ নামক একটি বাসা থেকে চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

মিলনের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, তার বিরুদ্ধে আদালতে ২৬টি মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি মামলার ওয়ারেন্ট ছিলো। আদালত ৯৩/১৫, ২১২/১৫ ও ১৪/১৫ নম্বর মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ২৫ নভেম্বর বাকী মামলার জামিন শুনানির জন্য তাকে চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হবে।

মিলনের পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিন জানান, মিলনের বিরুদ্ধে চাঁদপুরে আদালতে ২৬টি মামলা বিচারাধীন। গত মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) জিআর ২৬৪/০৯ মামলায় তার আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গ্রেপ্তার আতংকে ওইদিন আদালতে হাজির হননি তিনি।

আইনজীবীরা আরো জানান, সবগুলো মামলায় জামিনে ছিলেন মিলন। কিন্তু দীর্ঘদিন উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে ছিলেন তিনি। তাই এসব মামলায় হাজিরা দিতে পারেননি। এসব মামলার ১৭টিতে তার বিরুদ্ধ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এদিকে আদালতে হাজিরার সময় নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদন করেছেন এহছানুল হক মিলন। গত ১৮ নভেম্বর ‘আত্মগোপনে’ থাকা মিলনের সই করা চিঠি নিয়ে ইসিতে যান তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার বেবী। শুক্রবারও চাঁদপুর আদালতে বিএনপি’র জেলা নেতাদের সাথে মিলনের স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

আ ন ম এহছানুল হক মিলন ২০০১ সালের নির্বাচনে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসন থেকে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে তিনি জোট সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালেও তিনি এ আসনে জোট সরকারের প্রার্থী ছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মিলন এ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।