সাভারে অধ্যক্ষ মিন্টু হত্যায় হত্যাকাণ্ডে লালমনিরহাটে মানববন্ধন

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া এলাকার সন্তান, ঢাকা সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্রের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে হাতীবান্ধা টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ এবং এলাকাবাসী।

বুধবার (১১ আগস্ট)দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান আতি, হাতীবান্ধা রক্তদান সংস্থার সদস্যবৃন্দ এবং এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।

বুধবার (১১ আগস্ট) সকালে টংভাঙ্গা কালিবাড়ী শ্মশানে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দের মরদেহ দাহ করা হয়।

আলহাজ্ব সমশের উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রুবেল বলেন, হাতীবান্ধার উজ্জ্বল নক্ষত্র মিন্টু চন্দ্রের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি কার্যকর করা হোক।

জেলার হাতীবান্ধা এসএস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মঞ্জরুল ইসলাম মোর্শেদ বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তির এরুপ মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
মানববন্ধনে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান আতি বলেন, এলাকার একজন কৃতি সন্তানের এমন নৃশংস হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই আশুলিয়ার জামগড়া সংলগ্ন চারতলা এলাকার নিজ বাসা ‘স্বপ্ন নিবাস’ থেকেই নিখোঁজ হন সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দীর্ঘ ৯ দিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে অবশেষে ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মিন্টুর ছোট ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ।২৮ দিন পর সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বেরন এলাকার নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় ৬ খন্ডে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।