সার্ভারে সমস্যা, টিকিটপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি চরমে
ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনেই রেলের টিকেট কাটতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে টিকিট প্রত্যাশীরা। আবার টিকিট কালোবাজারির পুরোনো অভিযোগ নতুন করে তুলছেন যাত্রীরা।
শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হলে সার্ভার জটিলতায় যাত্রীরা সমস্যার পড়েন। টিকিট কাটতে পারছেন না তারা।
গতকালের (শুক্রবারের) মতো আজ শনিবারও প্রচণ্ড চাপ ছিল উত্তরবঙ্গের ট্রেন টিকিটের। যদিও গতকালের মতো ১ মিনিটের মধ্যে সব টিকিট বুকড হয়ে যায়নি। তবে তাতে লাভ হয়নি। টিকিটপ্রত্যাশীরা পড়েছেন নতুন ভোগান্তিতে।
সার্ভার জটিলতায় অনেকে ‘রেলসেবা’ অ্যাপে ঢুকতে পারেননি। অনেকে আবার অ্যাপে ঢুকতে পারলেও টিকিট বুকিং অপশনে ক্লিক করার পরে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকছে, পরবর্তী ধাপে সিলেক্ট হলেও টিকিট পারচেজ হয়নি অনেকের।
জানা যায়, উত্তরবঙ্গের একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ হতে সময় নেয় দুই ঘণ্টা।
ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলে চারটি আন্তনগর ট্রেন- পদ্মা, সিল্কসিটি, ধুমকেতু ও বনলতা এক্সপ্রেসের টিকিটও শেষ হয়ে সাড়ে ৯টার দিকে।
যশোর ও খুলনাগামী সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসে যশোরের মাত্র ৫ সিট খালি থাকলেও খুলনার প্রায় ২০০ সিট খালি রয়েছে। অন্যদিকে বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেসে খালি রয়েছে ২৪টি সিট। সিলেট রুটের কালনী, পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন এক্সপ্রেসের টিকেট এখনও পাওয়া যাচ্ছে।
একইসঙ্গে চট্টগ্রাম রুটের চট্টলা, সুবর্ণা, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের টিকেটও পাওয়া যাচ্ছে। তবে ময়মনসিংহ, জামালপুর রুটের চলাচলকারী অগ্নিবীণা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, জামালপুর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের চাহিদাও ছিল অনেক। তবে এ রুটের যাত্রীদের টিকিট কাটতে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।
সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের সময় এ রুটের ৩ হাজার টিকিটের মাঝে মাত্র ১৫টি অবিক্রীত ছিল।
অন্যদিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা রুটের মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেসের দেড় হাজার টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। চাহিদা থাকলেও এ রুটে যাত্রীদের টিকিট কাটতে ভোগান্তির কথা শোনা যায়নি। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের সময় এ রুটের অবিক্রীত টিকেট ছিল ১৯টি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন