সালসাবিলকে গুমের হুমকি দিয়ে একের এক ফোন!

গত ৪ মে কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা জানান স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। বলেছিলেন মাদক না ছাড়ায় নোবেলকে তিনি তালাক দিয়েছেন। একই সঙ্গে ফেসবুকে লিখেছিলেন, নোবেলের মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে অনেক ক্ষমতাবান মানুষের অবদান আছে।

এরপর থেকেই সালসাবিলকে ‘গুমের হুমকি’ দেওয়া হয়। আর সেটি তিনি জানান ফেসবুকে। শুক্রবার ‘গুমের হুমকি’ পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন— ‘২৪ ঘণ্টা আর ক্ষমতাধর ড্রাগ মাফিয়াদের থেকে শখানেক কল; আমি নাকি কত বড় ভুল করে ফেলেছি আমি নিজেও জানি না। আমাকে গুম করা তাদের দুই মিনিটেরও বিষয় নয়।’

তিনি আরও লিখেছেন— ‘উল্লেখযোগ্য যে কথাগুলো আমাকে বলা হলো; তোমাদের পারসনাল বিষয় পর্যন্ত ঠিক ছিল, এর বেশি তুমি কেন কথা বলতে গেলে? তুমি কেন এসব নিয়ে কথা বলতে গেছ? যদি আমাদের কারও নাম সামনে আসে- তোমাকে রাস্তায় শুট করা হবে। না হলে ২ মিনিটে গুম করে দেওয়া হবে।’

নোবেলের মাদকাসক্তের পেছনে অনেকের হাত আছে উল্লেখ করে সেই ফেসবুক পোস্টে সালসাবিল লিখেছিলেন— নোবেল কখনই এত অসুস্থ ছিল না। এমন না যে নোবেলের আজকের এ অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী; কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাবান মানুষের অবদান আছে সরকারি প্রশাসনিক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ এবং ক্ষমতাবান ব্যবসায়ীদের।

সালসাবিল মাহমুদ নোবেলকে বিয়ে করে আলোচনায় এলেও তিনি নিজেও একজন মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।